ঈদের প্রাক্কালে অবৈধ গরুর বাজারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ গো-রক্ষা বিভাগ

সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য ধর্মের লোকরা অনায়াসে এখানে উৎসব ঘটা করে পালন করে থাকেন। এতে কাউকে কোন প্রকার বাধা বা বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় না। উল্টো সংখ্যাগরিষ্ঠ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যখন নিজেদের ধর্মোৎসব পালন করে থাকেন তখন সেইসব উৎসবে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও গা ভাসাতে এবং আনন্দ উৎসবে মেতে উঠতে দেখা যায়।

অথচ আশ্চর্যজনকভাবে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের দিন ঘণিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আতঙ্কগ্রস্ত হতে হয়। যেমন মুসলমানদের ঈদ-উল-আযাহা বা বকরা ঈদ সমাগত হওয়ার সংগে সংগে সনাতন ধর্ম তথা সংস্কৃতির উপর আঘাত অনিবার্য হয়ে উঠে।বকরা ঈদের দিন কিছু দুষ্ট চক্র ইচ্ছে করে হিন্দু জনবহুল এলাকার আশপাশ অঞ্চল গুলিতে সুপ্রীম কোর্ট তথা রাজ্য সরকারের প্রণীত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে গোমাতাদের হত্যা করা তথা গোমাংস বেচা কেনা করা,শরীরের অবশিষ্টাংশ হিন্দু মন্দির বা হিন্দুদের বাড়িঘরে ফেলে দেওয়ার কাজে লিপ্ত থাকে।

এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা থাকে।  শ্যাম অত্যন্ত ক্ষোভের সংগে বলেন যে আশ্চর্যজনকভাবে মুসলমান সমাজের আলীম উলেমা বা তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। কিন্ত ধর্মোৎসব পালনের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজের ধর্ম তথা সংস্কৃতির উপর এভাবে প্রকাশ্য আঘাত আর বরদাস্ত করা হবেনা। এ ব্যাপারে উচ্চ ন্যায়লয়

তথা অসম সরকারের আসাম ক্যাটেল প্রিসারভেশন এক্ট ২০২১ কঠোর ভাবে বলবৎ করার জন্য আসাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পশুপালন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যাতে আসন্ন ঈদের সময় আসামের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট থাকে।

এ ব্যাপারে কাছাড়ের মাননীয় জেলাধিপতি তথা আরক্ষী অধিক্ষক কাছাড়ের বিভিন্ন মসজিদের মৌলানাদের ডেকে যেভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত হয় এরকম ঘটনা সংগঠিত না করা বা গোরক্ষা সংক্রান্ত আইনগুলি কঠোর ভাবে বলবৎ করার যে নির্দেশনা জারি করেছেন সেইজন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে উনাকে সাধুবাদ জানানো হয়।তৎসংগে উনি বন্যা কবলিত দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের বিভিন্ন অঞ্চলে গো-খাদ্যের যোগান বাড়ানোর জন্য সরকারের নিকট জোরালো দাবী জানান।

এ ব্যাপারে স্মারকপত্র প্রদানকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্ষেত্র গোরক্ষা প্রমূখ সমর ঘোষ, প্রান্ত সহ-সভাপতি বিজিত দাস, প্রান্ত প্রচার প্রমূখ  সুজয় শ্যাম, প্রান্ত টোলির মণিকান্ত সিনহা, জেলা সংযোজক বাপন চক্রবর্তী, অগ্নিশ ব্যানার্জি, সিদ্ধার্থ শংকর দাস প্রমুখ।

Related Posts

শাসক দলের চাঁদাবাজ কয়লা, সুপারি চুন পাথর, সহ বিভিন্ন সিন্ডিকেটের রাজত্বে বরাক অশান্তির পথে: গৌরব গগৈর গুরুতর অভিযোগ

বরাকবাণী প্রতিবেদন শিলচর, ৬ জুন: আসামের বন্যা বিধ্বস্ত বরাক উপত্যকা পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য আর সরকারি ব্যর্থতার এক জ্বলন্ত নিদর্শনে। সফরের দ্বিতীয় দিনে আসাম প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা…

ত্রাণে বৈষম্যের অভিযোগ, বদরপুরে বিধায়ক আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের তীব্র ক্ষোভ

বরাকবাণী প্রতিবেদন বদরপুর,৬ জুন বদরপুরে ভয়াবহ বন্যার করালগ্রাসে জনজীবন বিপর্যস্ত। ঘরবাড়ি, কৃষিজমি, রাস্তাঘাট সব কিছুই এখন জলের নিচে। এমন পরিস্থিতিতে যখন দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা জরুরি ছিল, তখনই অভিযোগ উঠেছে,…