
বরাকবাণী প্রতিবেদন ধলাই ১৬ মেঃ সদ্য সমাপ্ত গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কাছাড় জেলার রাজনীতি। রুকনি ইস্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হওয়া জুমা রায়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সঠিক প্রমাণপত্র জমা না দিয়ে এবং নিজের বাল্যবিবাহের তথ্য গোপন রেখে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এই অভিযোগ করেছেন ওই ওয়ার্ড থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দীপ্তিরানী দাশের প্রস্তাবক জহরজ্যোতি দাশ। বুধবার তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন এবং বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। তাঁর দাবি, নির্বাচনী নিয়মকানুনের গুরুতর লঙ্ঘন করে একজন প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন, যা নির্বাচন ব্যবস্থার স্বচ্ছতার উপর প্রশ্ন তুলে দেয়।
জহরজ্যোতি দাশ বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আগে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সবরকম তথ্য সত্য ও পূর্ণাঙ্গভাবে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। জুমা রায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র জমা দেননি এবং নিজের বাল্যবিবাহের তথ্যও নির্বাচন কমিশনের কাছে গোপন রেখেছেন।
এমন প্রার্থী কিভাবে নির্বাচনে জয়ী হন, তা আমাদের কাছে বড় প্রশ্ন। এই সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্তবিশ্ব শর্মা এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা যায় না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন একটি পবিত্র প্রক্রিয়া। সেখানে যদি কেউ ভুয়া নথি বা তথ্য গোপন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তা হলে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষী প্রার্থীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এদিকে, এ নিয়ে গ্রামাঞ্চলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগের তদন্ত করে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তবে এই অভিযোগ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়ে তুলেছে বলেই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।