
বরাকবাণী প্রতিবেদন শ্রীভুমি ১৬ মেঃ শ্রীভূমি জেলার রাণিপার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিত্রটা যেন এক করুণ বাস্তবচিত্র। রাস্তায় হেঁটে যাওয়া যেন প্রতিদিনকার যুদ্ধ! বিশেষ করে বর্ষাকালে এই দুরবস্থা চরম আকার ধারণ করে। রাস্তাগুলোর পিচ উঠে গেছে বহুদিন আগেই, কোথাও বড় বড় গর্ত, কোথাও আবার জল জমে তৈরি হয়েছে ছোটখাটো পুকুর।
কাদা ও জলমিশ্রিত পথ দিয়ে প্রতিদিন হাজারো পথচারী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, কর্মজীবী মানুষ এমনকি অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও বয়স্কদের চলাচল করতে হয় চরম ঝুঁকি নিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীমতি মিনা সাহা বলেন, বর্ষা এলে তো বাড়ির বাইরে পা ফেলা যায় না। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে কষ্ট হয়, বয়স্করা পড়ে গেলে হাড় ভাঙার আশঙ্কা থাকে। কতবার বলেছি কাউন্সিলরকে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
রাণিপারের বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে জানিয়েছেন, বহুবার স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনো স্থায়ী সমাধান মেলেনি। রাস্তাগুলোর দুরবস্থার জন্য বারবার বরাদ্দের আশ্বাস মিললেও বাস্তবে তা ধোঁয়াশাই থেকে গেছে। জল জমে থাকার ফলে শুধু চলাচলের অসুবিধাই নয়, বরং সৃষ্টি হয়েছে মশার উপদ্রব, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার মতো রোগের আশঙ্কাও প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে। একজন স্কুলছাত্রী জানায়, প্রতিদিন কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। সাদা মোজা কালো হয়ে যায়। পড়ে গেলে পোশাক নষ্ট হয়, পড়াশোনায় মন বসে না।
বিরক্ত স্থানীয় যুবকরা বলেন, সড়কের এই বেহাল দশার জন্য আমরা আর চুপ করে বসে থাকতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যদি এবারও আমাদের কথা না শোনা হয়, তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে হবে। ভুক্তভোগীরা একবাক্যে দাবি করেছেন, অবিলম্বে সড়কের সংস্কারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং হস্তক্ষেপ করুন।
শুধুমাত্র আশ্বাস নয়, যেন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যাতে সাধারণ মানুষ ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা পান। এই প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে রাণিপার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা আশাবাদী যে, কর্তৃপক্ষের ঘুম এবার ভাঙবে এবং জনগণের দুর্দশার অবসান ঘটবে। রাস্তা ঠিক হলে, শুধুমাত্র চলাচলের সমস্যাই দূর হবে না, বরং ফিরবে এলাকাবাসীর হারিয়ে যাওয়া স্বস্তি ও নিরাপত্তা।