
বরাকবাণী প্রতিবেদন শ্রীভুমি ১৬ মেঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বিদ্বেষ ও পাকিস্তান প্রেমের নজির গড়ে অবশেষে ‘লালঘর’-এর অতিথি হতে হল এক যুবককে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকায়, শ্রীভূমি থানার পুলিশ কালিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে আবুল হোসেন নামে এক যুবককে।
সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়া যুবকটি প্রধানমন্ত্রীর একটি বার্তাকে কৌশলে এডিট করে বিকৃত করেন এবং সেটিকে পাকিস্তানের সমর্থনে প্রচার করে ফেসবুকে পোস্ট করেন। এমনকী, সেই পোস্টের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ছোট করে পাকিস্তানের পক্ষে ‘মিথ্যা স্বীকারোক্তি’র মতো প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়।
এই ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। দেশের একজন নির্বাচিত, বিচক্ষণ ও সফল প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এই ধরনের চক্রান্তমূলক আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না, এমনটাই মত সমাজের বিশিষ্ট মহলের।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত নজরদারির মাধ্যমে অভিযুক্তের কার্যকলাপ নজরে আসে। এরপরই নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে অভিযান চালিয়ে তাকে কালিগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যেখানে পাকিস্তানপন্থী কন্টেন্ট ও মিথ্যা প্রচারের একাধিক নমুনা পাওয়া গিয়েছে।
ভারতের মত বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রদান করেন, সেটি জাতীয় মর্যাদার প্রতীক স্বরূপ। সেই বক্তব্য বিকৃত করে কোনো ব্যক্তি যদি শত্রু দেশের স্বার্থে অপপ্রচার চালায়, তা নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে স্বাধীনতা মানেই সীমাহীন দায়িত্ব নয়। স্বাধীনতা মানেই আইনবিরোধী কাজ করার লাইসেন্স নয়।
এই প্রশ্ন এখন তদন্তের মূল বিষয়। সে একা এই কাজ করেছে, নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনো সংঘবদ্ধ চক্র? পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তের সঙ্গে আরও কিছু বিদেশি প্রোফাইল ও গ্রুপের লিঙ্ক পাওয়া গেছে। গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে এবং সাইবার সেলে হস্তান্তর করা হয়েছে পুরো কেসটি।
পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক এ কেমন স্বাধীনতা যেখানে দেশের শত্রুপক্ষকে উৎসাহ দিয়ে দেশের নেতা ও ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়? দেশে বসে পাকিস্তানপ্রীতি দেখানো কি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে? জাতীয় গৌরব ও সংবিধান রক্ষায় প্রশাসনের এই দৃঢ় পদক্ষেপকে সাধুবাদ না জানিয়ে উপায় নেই। এ যেন এক জাগরণের বার্তাদেশদ্রোহের জায়গা ভারতীয় গণতন্ত্রে নেই।
দেশের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো খবর, বিকৃত বার্তা ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ যে কোনো সময় বিপদের কারণ হতে পারে। দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া মানে নিজের শিকড়ে কুঠারাঘাত।