
নিজস্ব প্রতিনিধি নয়াদিল্লি, ৭ মে: পাকিস্তানকে জবাব দিল ভারত। প্রতিশোধ নিল পছন্দসই সময়ে, পছন্দসই স্থানে। মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক দুঃসাহসিক অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ চালাল ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে মধ্যরাতের পর এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের মাটিতে এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে মোট নয়টি স্থানে জঙ্গি পরিকাঠামো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যে সব জায়গা থেকে ভারতে জঙ্গি হামলার ছক তৈরি হচ্ছিল, সেখানেই নিশানায় নেওয়া হয়েছে। বিশেষভাবে লক্ষ্য ছিল সেইসব জায়গা, যেখান থেকে হামলার নির্দেশ জারি হচ্ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।

যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে নির্দিষ্ট কোনও শহরের নাম উল্লেখ করা হয়নি, তবে একাধিক সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বহাওয়ালপুর এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদে হামলা চালানো হয়েছে। টার্গেট করা হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার প্রশিক্ষণ শিবিরগুলোকে। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমাদের পদক্ষেপ ছিল সুনির্দিষ্ট, পরিমিত এবং একেবারেই অপ্ররোচনামূলক। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও স্থাপনায় হামলা চালানো হয়নি। শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামোকেই নিশানায় নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গিহানার জেরে রণং দেহি মনোভাব দেখায় নয়াদিল্লি। প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দুই-ই স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, জবাব আসবেই, সময় এবং স্থান বেছে নিয়ে। সেই হুঁশিয়ারির বাস্তব রূপই যেন ‘অপারেশন সিঁদুর’। বুধবার এই অভিযানের বিস্তারিত তথ্য এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান তুলে ধরতে পারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ততক্ষণে সেনার পক্ষ থেকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে সীমান্তে, সম্ভাব্য পাল্টা প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না কোনও পক্ষই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভিযান পাকিস্তানকে কড়া বার্তা তো দিলই, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানকে আরও জোরালো করল। এই মুহূর্তে গোটা দেশের নজর বুধবারের ব্রিফিংয়ের দিকে। সেনার তরফে কী জানানো হয়, তা নির্ধারণ করবে আগামিদিনের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা সমীকরণ। আরও বিস্তারিত প্রতিবেদন এবং বিশ্লেষণের জন্য আমাদের পরবর্তী সংস্করণ পড়তে থাকুন।