
বরাকবাণী প্রতিবেদন উধারবন্দ, ১৩ জুলাইঃ পানগ্ৰাম গ্রাম পঞ্চায়েত যেন এখন এক গভীর ষড়যন্ত্রের অন্ধকারে ঢাকা পড়ে আছে। আর এই অন্ধকারের কেন্দ্রে রয়েছেন নব নির্বাচিত সভানেত্রী সুপ্রীতি কাঙ্গাতি। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ স্কুল সার্টিফিকেট জালিয়াতির! শনিবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে গোটা পঞ্চায়েতে আলোড়ন ফেলে দেন জিপির একাংশ সদস্য।
এই দিন বিকেল তিনটেয় পানগ্রাম জিপির চণ্ডীঘাট চা বাগানে অবস্থিত পঞ্চায়েত সদস্য রূপা দেবের বাড়িতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে মুখ খোলেন জিপির সদস্য রাখী অধিকারি, সুরঞ্জিত নুনিয়া, বাবলু কর্মকার এবং রূপা দেব নিজে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বুথ সভাপতি পান্না সৎনামীও। অভিযোগের তীর সোজা সুপ্রীতির দিকে।
তাঁদের দাবি, ১০ এপ্রিল তারিখে সুপ্রীতি কাঙ্গাতির নামে জয়পুর পাবলিক হাইস্কুল থেকে একসাথে নবম এবং দশম শ্রেণির দুটি সার্টিফিকেট ইস্যু হয়! প্রশ্ন তুলেছেন, একই দিনে এক মহিলার নামে দুটি ভিন্ন শ্রেণির সার্টিফিকেট কীভাবে জারি হলো? এটি কি সম্ভব? না কি প্রশাসনিক স্তরে কারসাজি হয়েছে?
সদস্যদের অভিযোগ, সুপ্রীতি কাঙ্গাতির ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই। তাঁরা দাবি করেছেন, তিনি পড়তে বা লিখতে পারেন না। তবুও কীভাবে তাঁকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সভানেত্রী করা হলো? তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সুপ্রীতি আসলে নামমাত্র সভানেত্রী। তাঁকে সামনে রেখে অন্য কেউ পঞ্চায়েতের ক্ষমতা ও সুবিধা ভোগ করবে। এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
সবচেয়ে বিস্ময়কর যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা হলো মনোনয়ন সংক্রান্ত হঠাৎ ঘুরে যাওয়া সমর্থন। অভিযোগ, ৭ জুলাই পর্যন্ত সুপ্রীতির বিরোধীরা রূপা দেবকে সভানেত্রী করতে চাইছিলেন। অথচ পরদিন শপথ গ্রহণের দিনে হঠাৎ করে সামছুল হক লস্কর ও রিংকু কর্মকার তাঁদের সমর্থন ঘুরিয়ে সুপ্রীতির পাশে দাঁড়ান।
এই আচমকা পরিবর্তন নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাকে ঘিরে পঞ্চায়েতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যেই রূপা দেবের স্বামী সুশান্ত দেব ওরফে সুমিত উধারবন্দ থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। দাবী উঠেছে, সার্বিক ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটন করুক প্রশাসন।