
বরাকবাণী প্রতিবেদন কাটিগড়া, ২৩ মেঃ কোনো রকম পূর্ব পরিকল্পনা বা বিকল্প ব্যবস্থা না করেই গ্যামন সেতু মেরামতের নাম করে দু’মাসের জন্য হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। সরকারের এই একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল। তীব্র ভাষায় এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে কাছাড় জেলা কংগ্রেস।
সেতু বন্ধ হওয়ার তৃতীয় দিনেই পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে নজিরবিহীন। রাস্তাঘাটে গাড়ির দীর্ঘ সারি, নির্ধারিত সময়ে স্কুল-কলেজে পৌঁছাতে পারছে না শিক্ষার্থীরা, অফিসগামীদের ভোগান্তির শেষ নেই। সব চেয়ে বেশি বিপর্যস্ত সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, যারা দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য নির্ভর করেন এই সেতুর উপর।

তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে। কাটিগড়া ও আশেপাশের এলাকায় গ্যাস এজেন্সিগুলো মাত্রাতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। সাধারণভাবে বিক্রি হওয়া একটি সিলিন্ডারের দাম হঠাৎ করে দুই শত টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন গৃহিণীরা।
এই অব্যবস্থা ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে কাছাড় জেলা কংগ্রেস। শুক্রবার, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ দাসের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল কাটিগড়ার সার্কল অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দিয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানায় এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তোলে।

প্রতিনিধি দলের পক্ষে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সন্দীপ দাস বলেন, সরকারের এই অবিবেচক সিদ্ধান্তের জেরে সাধারণ মানুষ আজ অসহায়। কোনও বিকল্প রুট না রেখেই গ্যামন সেতু বন্ধ করে দেওয়া শুধু আত্মঘাতী নয়, চরম অবহেলার পরিচায়ক। রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ পরিবারগুলো চরম বিপদে পড়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং জরুরি ভিত্তিতে কালাইন ও কাটিগড়া রুটে পর্যাপ্ত বাসপরিষেবা চালু করতে।
তিনি আরও জানান, যদি প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে কংগ্রেস রাস্তায় নেমে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে। অন্যদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনও সুস্পষ্ট বক্তব্য বা প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি। সাধারণ মানুষ অপেক্ষা করছে – কবে মিলবে স্বস্তি? কবে সরকারের ঘুম ভাঙবে?