
বরাকবাণী প্রতিবেদন হাইলাকান্দির ২৩মে: হাইলাকান্দি জেলার দক্ষিণ সোনাপুরে তীব্র জলের সংকট দেখা দিয়েছে জল জীবন মিশনের প্রকল্পে শুধুই ঘাস আর নীরবতা। “নল আছে জল নেই”বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য হাহাকার করতে হচ্ছে গুটা গ্রামের জনগণকে।পুকুরের জলের উপর নির্ভর করে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।জল জীবন মিশনের অধীনে পানীয় জলের প্রকল্প আছে ঠিকই কিন্ত দুই বছর থেকে বিশুদ্ধ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত গোটা গ্রামবাসী।জল চাই, জল দাও! পিএইচই বিভাগ হায় হায়!
এই স্লোগানে আজ মুখরিত হয়ে উঠল হাইলাকান্দি জেলার দক্ষিণ সোনাপুরের পিএইচই প্লান্ট। জলের অভাবে তপ্ত গ্রামবাসীরা আজ প্রতিবাদের পথ বেছে নিলেন, কারণ কথায় নয়, বাস্তবে তাদের জীবন এখন পুকুরের দুর্গন্ধযুক্ত জলের উপরই নির্ভরশীল।গত দু’বছর ধরে দক্ষিণ সোনাপুরের ‘জল জীবন মিশন-এর রংপুর ওয়েস্ট পি ডাব্লিউ এস এস প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পড়ে আছে। নামমাত্র স্থাপনা থাকলেও, বাস্তবে তার কার্যকারিতা শূন্য। প্ল্যান্টটির আনাচে-কানাচে গজিয়ে উঠেছে ঘাস, এমনকি জলের ট্যাংকের মধ্যেও গজিয়েছে আগাছা! এই দৃশ্য দেখে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ আর চেপে রাখা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় মহিলারা বলেন “দুই বছর ধরে আমরা পুকুরের জল রিফাইন করে খেতে বাধ্য হচ্ছি। সেই জলেও দুর্গন্ধ। পানীয় জলের জন্য প্রতিদিন ভুগতে হচ্ছে কিন্তু তারপরও মিলছে না বিশুদ্ধ পানীয় জল।গ্রামবাসীদের দাবি, তারা একাধিকবার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে প্রকল্প সচল করার অনুরোধ জানিয়েছেন, কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা আর অব্যবস্থাপনায়, আজ দক্ষিণ সোনাপুর কার্যত জলবঞ্চিত মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।
এই সংকট কেবল প্রযুক্তিগত নয়, এটি একটি প্রশাসনিক ব্যর্থতার স্পষ্ট চিত্র। যদি জরুরি পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।এদিকে,জল জীবন মিশনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যদি শুধু ঘাস জন্মানোর ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়ায়, তবে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আর প্রশাসনের উপর থাকে না কিছুই। দক্ষিণ সোনাপুর এখন শুধুই জলের জন্য লড়াইরত এক জনপদ।
এই প্রতিবাদ যেন কেবল শুরু—আসন্ন দিনগুলোতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে আরও বড় প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।গ্রামবাসীরা তাদের বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিতে জেলা আয়ুক্ত ও বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ সহ সরকারের কাছে কাতর আবেদন জানিয়েছেন।