
বরাকবাণী প্রতিবেদন শিলচর,২৩ মে: এবার হজযাত্রায় এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। পূর্ববর্তী বছরগুলির মতো গুয়াহাটির পরিবর্তে এবার অধিকাংশ আসামি হজযাত্রী রওনা হচ্ছেন কলকাতা এম্বারকেশন পয়েন্ট থেকে। এর মধ্যে সোনাইসহ বরাক উপত্যকার বহু সংখ্যক যাত্রী রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটির ব্যবস্থাপনায় কলকাতার হজ ভবনে সুষ্ঠুভাবে অবস্থান করছেন এই হজযাত্রীরা।
এই প্রেক্ষাপটে নজর কাড়ছেন আসাম রাজ্য হজ কমিটির সদস্য এবং সোনাইয়ের বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভুইয়া ওরফে সাজু। তিনি স্ব-উপস্থিতিতে কলকাতার হজ ভবনে পৌঁছে সোনাই ও বরাক উপত্যকার হজযাত্রীদের খোঁজখবর নিয়েছেন, এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তায় তৎপর ভূমিকা পালন করছেন।
এক প্রতিক্রিয়ায় বিধায়ক করিম উদ্দিন বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটির ব্যবস্থাপনায় এখানে হজযাত্রীরা খুব সুন্দরভাবে অবস্থান করছেন। থাকা-খাওয়া ও আনুষঙ্গিক পরিষেবা সবদিক থেকেই সন্তোষজনক। তিনি কলকাতার হজ ভবনের পরিষেবার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তবে এ-প্রসঙ্গে তাঁর কণ্ঠে আক্ষেপও ধরা পড়ে। তিনি বলেন, দুঃখের বিষয়, গুয়াহাটির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে এখনও হজ ভবন নেই। ফলে হজযাত্রীদের নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আসামে এত হজযাত্রী থাকা সত্ত্বেও হজ ভবনের অনুপস্থিতি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। অবিলম্বে গুয়াহাটিতে হজ ভবন নির্মাণ হওয়া উচিত।
কলকাতায় অবস্থানরত আসামি হজযাত্রীদের খোঁজখবর নিতে আসেন নর্থ ইস্ট হজ কমিটির চেয়ারম্যান নেকিবুর জামানও। এসময় করিম উদ্দিন বড়ভুইয়ার পাশাপাশি হজযাত্রীদের সেবায় সক্রিয় ছিলেন আরএফ ফাউন্ডেশনের কর্ণধার আওলাদ হুসেন লস্কর, সোনাই পুরসভার ওয়ার্ড কমিশনার নূর আহমেদ বড়ভুইয়া, তাঁর প্রতিনিধি আনসারুল হক লস্কর, রূপাইলবালি জিপির প্রাক্তন সভাপতি হানিফ মজুমদার ও বিশিষ্ট সমাজসেবী নসরুল মজুমদার।
সব মিলিয়ে কলকাতায় হজযাত্রীদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সাথে আসাম থেকে আগতদের প্রতি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যত্ন ও সহযোগিতার চিত্র এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এখন শুধু প্রার্থনা—হজযাত্রীরা যেন সুস্থভাবে পবিত্র হজ সম্পন্ন করে নিরাপদে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।