জেলা পরিষদে জয় আনলেও স্বামী বিলালের দাপটে প্রশ্নের মুখে রেজওয়ান বেগম, তৃণমূল স্তরে ক্ষোভ, শাসকদলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত

জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এখানে রেজওয়ান বেগমকে নয় ,আর বিলাল  উদ্দিনকে ও নয় । আমাকে ভোট দিন। আমি আপনাদের উন্নয়নের যাবতীয় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেবো। আর সত্যিকার অর্থেই জনগণ শুধুমাত্র বিধায়ক বিজয়ের প্রতিশ্রুতির দিকে চেয়ে আনিপুর জেলা পরিষদ আসনের বিজেপি প্রার্থী রেজওয়ান বেগমকে নির্বাচিত করেছেন। কিন্ত আনিপুর জেলা পরিষদ আসনের দলীয় প্রার্থী তথা নব নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্যা রেজওয়ান বেগমের স্বামী বিলাল উদ্দিনের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা শাসক দল এমনকী বিধায়ক বিজয় মালাকারের ছবির ক্ষতি করছে বলে তৃণমূল স্তরের কর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন।

যে শাসক দল বিজেপি ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরনের পৃষ্টপোষক। এক ব্যক্তি এক পদ ও পরিবার তান্ত্রিক ব্যবস্থার কট্টর বিরোধী।সেই শাসক দলের যাবতীয় নীতি আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে যাবতীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজে হরিনগর জিপির সভাপতি পদের দাবিদারের পাশাপাশি স্ত্রী আনিপুর জেলা পরিষদ সদস্যা।আপন ভগ্নি কাজিরবাজার পলডহর জিপির সভানেত্রীর দাবিদার। এমনকী রাতাবাড়ি জিপিতে যে মিফতাউল জন্নত খান মান্না প্রথম বিজেপির সংগঠনকে সংখ্যালঘুদের মধ্য নিয়ে এসেছিলেন।

এমনকী বিগত লোকসভা নির্বাচনে মান্না খানের নেতৃত্বে সহস্রাধিক ভোট বিজেপি প্রার্থীর অনুকুলে গিয়েছিল। সেই মান্না খানকে হারাতে রাতাবাড়ি জিপির ৪নং ওয়ার্ডে তার আপন ভাগ্নের স্ত্রীকে প্রার্থী করেছিলেন। এমনকী জয়ী করাতে এবং একি দলে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা মান্না খান কে হারাতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছিলেন। তার সমস্ত আত্মীয় স্বজনদের কে মাঠে নামিয়েছিলেন ভাগ্নেকে জয়ী করাতে।উদ্দেশ্য একটাই রাতাবাড়ি জিপিকে নিজের কুক্ষিগত করা।কিন্ত বিলাল উদ্দিন বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন ওটা রাতাবাড়ি জিপি।ওই জিপির সিংহ ভাগ জনগণ রাজনৈতিক ভাবে সচেতন ও স্বাধীন চেতা।

তাই তার সেই স্বপ্ন ভঙ্গ ঘটে। ভাগ্নের স্ত্রী বিজেপির সংখ্যালঘু নেতা মান্না খানের হাতে বিপুল ভোটে পরাজিত হন।কিন্ত এর পর হরিনগর জিপির হুবু সভাপতি তথা আনিপুর জেলা পরিষদ সদস্যার প্রতিনিধি বিলাল উদ্দিন মান্না খানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।স্বয়ং মান্না খান তার ফেসবুক একাউন্টে বিলাল উদ্দিনের নাম না নিয়ে বলেন, ওয়াড সদস্যদের  কে বিভিন্ন মিথ্যা প্রলোভন এবং ধমক দেওয়া হচ্ছে বলে।তিনি ওইসবের তীব্র নিন্দা জানিয়ে নির্বাচিত  সদস্যদের  স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে তিনি বিধায়ক বিজয় মালাকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে বিলাল উদ্দিনের এই বাড়বাড়ন্ত ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টার তীব্র সমালোচনা সর্বত্র শুরু হয়েছে।বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার মিফতাউল জন্নত খান মান্নার পক্ষে রাতাবাড়ির জিপির সিংহ ভাগ নির্বাচিত ওয়ার্ড সদস্য মতামত প্রকাশ করলেও বিলাল উদ্দিন নাকী বিরোধীতা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ।

প্রশ্ন উঠছে বিধায়ক বিজয় মালাকার কী এভাবেই গোটা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার যাবতীয় দায়িত্ব বিলালের হাতে তুলে দিয়েছেন। না, বিলাল ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বিধায়কের নাম ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে রাতাবাড়ি জিপির জনগণ যে দুই হাজারের কাছাকাছি ভোট জেলা পরিষদ সদস্য কে প্রদান করেছেন তা শুধুমাত্র বিধায়ক বিজয় মালাকারের জন্য।

স্ত্রী আনিপুর জেলা পরিষদের সদস্যা বিধায়ক বিজয়ের বদান্যতায় নির্বাচিত হলেও রাতাবাড়ি জিপির নেতৃত্ব দেয়ার মতো ক্ষমতা বিলাল উদ্দিনের আছে কীনা তা বিধায়ক বিজয়ের নিরিক্ষণের প্রয়োজন। কারন হরিনগর থেকে রাতাবাড়ি জিপির ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নেতৃত্ব দেয়ার স্বপ্ন আখেরে শাসক বিজেপি ও বিধায়ক বিজয় মালাকারের ক্ষতিটাই সাধিত হবে এমন অভিমত শাসক দলের সংখ্যালঘু মোর্চার একাংশ কর্মী সমর্থকদের।

Related Posts

শাসক দলের চাঁদাবাজ কয়লা, সুপারি চুন পাথর, সহ বিভিন্ন সিন্ডিকেটের রাজত্বে বরাক অশান্তির পথে: গৌরব গগৈর গুরুতর অভিযোগ

বরাকবাণী প্রতিবেদন শিলচর, ৬ জুন: আসামের বন্যা বিধ্বস্ত বরাক উপত্যকা পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য আর সরকারি ব্যর্থতার এক জ্বলন্ত নিদর্শনে। সফরের দ্বিতীয় দিনে আসাম প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা…

ঈদের প্রাক্কালে অবৈধ গরুর বাজারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ গো-রক্ষা বিভাগ

বরাকবাণী প্রতিবেদন,পাথারকান্দি,৬ জুন:  ঈদের প্রাক্কালে শ্রীভূমি জেলায় অবৈধ গরুর বাজার বন্ধের দাবিতে শ্রীভূমি জেলা আয়ুক্তের মারফৎ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রেরণ তথা রাজ্যের মীন,পশুপালন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী  কৃষ্ণেন্দু পালের হাতে…