২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১০৫টি আসনে জয়ের লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু, সংখ্যালঘু নারীদের মধ্যে বাড়ছে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা

মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির মুখ্য কার্যালয় বাজপেয়ী ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে সংখ্যালঘু নারীরা কংগ্রেসকে আর ভোট দেবে না। সংখ্যালঘু এলাকা থেকে বিজেপির ভোটের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাঁর দাবি, সংখ্যালঘু মহিলাদের মধ্যে বিজেপির প্রতি আস্থা দৃঢ় হয়েছে, এবং তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় বিজেপিকে ভোট দিতে এগিয়ে আসছে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, হিন্দু জনগণ বসবাস করে এমন একটি আসনও কংগ্রেস জিততে পারেনি। পক্ষান্তরে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপির পক্ষে গণভোট পড়েছে। তাই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-জোটের ১০৫টি আসনে জয় নিশ্চিত বলে তিনি দৃঢ় আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, লোকসভা নির্বাচনের পর নতুন কোনো প্রকল্প ঘোষিত হয়নি, শুধুমাত্র বিজেপির প্রতিশ্রুতি ও বিশ্বাসযোগ্যতার উপর ভরসা রেখেই মানুষ ভোট দিয়েছে। এখন যখন ঘোষণাগুলি বাস্তবায়নের পথে, তখন এর ফলাফল আরও ইতিবাচক হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লাখপতি বাইদেউ, অরুণোদয়, স্বনিয়োজন প্রকল্প ইত্যাদি হাজার কোটি টাকার হিতকারী প্রকল্পগুলি ২০২৬ সালের নির্বাচনে একেকটি ‘ম্যাজিক কার্ড’ হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, কথায় যদি এত সাফল্য আসে, কর্মক্ষেত্রে তার ফলাফল আরও বিস্ময়কর হবে। বিজেপি-জোটের জয়ের পেছনে মিত্রদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, এইবার AGP, রাভা যুক্ত সংগ্রাম পরিষদ, এবং গণ শক্তির সঙ্গে সমন্বয় অনেক মজবুত হয়েছে।

এমনকি আমি যখন চারদিন দেশের বাইরে ছিলাম, তখনো টিকিট বন্টন নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনেও এই সমন্বয় বজায় থাকবে। এই দিন মুখ্যমন্ত্রী আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, শীঘ্রই গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত হবে একটি রাজ্যব্যাপী পঞ্চায়েত সম্মেলন, যেখানে কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত থাকবেন। এই সম্মেলনে পঞ্চায়েত বিজয়ীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে তারা তৃণমূল স্তরে জনসেবায় আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারেন।

সংবাদ সম্মেলনের শেষে তিনি বিজেপি ও তার মিত্রজোটের সকল পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করেছি আমরা, এবার সেই বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে হবে কাজের মাধ্যমে। জনসেবা হোক আমাদের মূল মন্ত্র। এই বক্তব্য এবং পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট যে বিজেপি ইতিমধ্যে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল সাজিয়ে ফেলেছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা—এই কৌশল কতটা বাস্তবায়িত হয় এবং তার ফল কতটা বিস্ময়কর হয়, তা দেখার।

Related Posts

শাসক দলের চাঁদাবাজ কয়লা, সুপারি চুন পাথর, সহ বিভিন্ন সিন্ডিকেটের রাজত্বে বরাক অশান্তির পথে: গৌরব গগৈর গুরুতর অভিযোগ

বরাকবাণী প্রতিবেদন শিলচর, ৬ জুন: আসামের বন্যা বিধ্বস্ত বরাক উপত্যকা পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য আর সরকারি ব্যর্থতার এক জ্বলন্ত নিদর্শনে। সফরের দ্বিতীয় দিনে আসাম প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা…

ঈদের প্রাক্কালে অবৈধ গরুর বাজারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ গো-রক্ষা বিভাগ

বরাকবাণী প্রতিবেদন,পাথারকান্দি,৬ জুন:  ঈদের প্রাক্কালে শ্রীভূমি জেলায় অবৈধ গরুর বাজার বন্ধের দাবিতে শ্রীভূমি জেলা আয়ুক্তের মারফৎ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রেরণ তথা রাজ্যের মীন,পশুপালন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী  কৃষ্ণেন্দু পালের হাতে…