
পরিতোষ পাল বরাকবাণী প্রতিনিধি ধর্মনগর ৫ মেঃ রাজ্যে পাচারকালে গাড়ী ভর্তী দেশী গরু আটক করলো পুলিশ। রবিবার বিকেলে এই সাফল্য পায় ঊনকোটি জেলার ফটিকরায় থানার পুলিশ। তবে গরু সমেত গাড়ী আটক হলেও পলাতক গাড়ীর চালক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ত্রিপুরায় গো সুরক্ষা এবং গো-চোরাচালান বন্ধে প্রায়শই বড়ো বড়ো বুলি আওড়ান রাষ্ট্রবাদী বিজেপি দলের একাংশ কর্মীরা। কিন্তু তা সত্তেও রাজ্যে থেমে নেই গো-চোরাচালানের ঘটনা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়শই অবৈধভাবে গো-চোরাচালানের দ্বারা কামাই বানিজ্যে আর্থিকভাবে ফুলে ফেপে উঠছেন একাংশ অসাধু ব্যাবসাহীরা বলে অভিযোগ।
মাঝেমধ্যে পাচারের সময় পুলিশের হাতে ধরাও পড়তে হয় সেই পাচারকারীদেরকে। রবিবার এভাবেই পাচারের সময় ফটিকরায় থানার পুলিশের হাতে আটক হলো একটি TR-02-H-1894 নম্বরের বোলেরো পিকাপ ভর্তি ১১ টি দেশী গরু। ফটিকরায় থানার ওসি পর্থ নাথ ভৌমিক জানান, রাস্তায় পুলিশের রুটিন চেকিংএর সময় পুলিশের কাছে খবর আসে পাচারের জন্য ফটিকরায় এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হবে কিছু গরু।
তখনই ফটিকরায়ের চেবরী চৌমুহনিতে এলাকাবাসীর সহায়তায় গাড়ীটিকে আটক করে পুলিশ। গাড়ীতে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় গরুগুলি। এদিকে পুলিশের আঁচ পেয়ে গাড়ী রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় গাড়ী চালক। তবে গাড়িতে থাকা এক সহযোগী পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
অত্যন্ত অমানবিকভাবে গাড়ীতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো অবলা প্রাণীগুলোকে। উদ্ধার হওয়া গরুগুলোকে পরে গো-শালায় পাঠায় পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ফটিকরায় থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই গরু পাচার নিয়ে একেবারে ঢাকঢোল পিটিয়ে রাস্তায় নেমেছিলো বর্তমান শাসক দল বিজেপি এবং বিশ্বহিন্দু পরিষদ। দিকে দিকে গরুর গাড়ী আটকে কতো অবরোধ আন্দোলনও প্রত্যক্ষ করেছিলেন রাজ্যের মানুষ।
কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলের পর এসব আজ যেন হটাৎই উড়েগেলো ভোজবাজির মতো। রাজ্যের আনাচে কানাচে বিভিন্ন সময় গরু পাচার অব্যাহত থাকলেও তথাকথিত রাষ্ট্রবাদীদের সেই তৎপরতা আজ আর নেই। এর পেছনে একটা অংশের মেনেজ বানিজ্যও অন্যতম কারন বলেই অভিমত সচেতন মহলের।