
বিমল চৌধুরী বরাকবাণী প্রতিনিধি শনবিল ৫ মেঃ এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণতন্ত্র যেন হার মানল শাসকের দম্ভের কাছে। ভৈরবনগর ও আনিপুর জিলা পরিষদ আসনে ভোট দখলের ঘটনায় সরাসরি বিধায়ক বিজয় মালাকারের নাম জড়িয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন কংগ্রেস নেতারা।
সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা সুমন্ত দাস এবং জাসমিনা সুলতানার প্রতিনিধি সামিম আক্তার অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে এই নির্বাচনে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের কথায়, এই নির্বাচন আসলে একটি প্রহসন মাত্র।
যেখানে জনগণের মতামতের কোনো মূল্য নেই। রাতাবাড়ির কংগ্রেস নেতৃত্ব স্পষ্ট ভাষায় বলেন, এই প্রহসনের নামে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে জনগণকে শুধু প্রতারিত করেছে। শাসক দল চাইলে নিজেদের কর্মীদের নিয়েই অ্যাডহক পঞ্চায়েত কমিটি গঠন করতে পারত। তাহলে অন্তত জনগণের মূল্যবান সময় এবং রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ অপচয় হতো না।
বিশেষ করে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আনিপুর জেলা পরিষদ আসনের একাধিক কেন্দ্রে ১০০০ থেকে ১২০০ ভোট থাকার পরেও কাস্টিং বিলম্বিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিকল্পিতভাবে কেন্দ্রে একমাত্র টেবিল রাখা হয়েছে, যাতে ভোট প্রক্রিয়া মন্থর হয় এবং দখলের সুযোগ তৈরি হয়।
অভিযোগ উঠেছে, বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট পড়তে দেখে একাধিক বুথে হামলা চালানো হয়েছে, ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে ব্যালট পেপার। ভোটাররা দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও প্রিসাইডিং অফিসারের সিল দেওয়া সত্ত্বেও সেক্টর অফিসার এজেন্টদের কোনো নথি ছাড়াই ভোট বাক্স জোর করে নিয়ে গেছেন।
সবচেয়ে চমকপ্রদ অভিযোগ, কংগ্রেস নেতাদের দাবি অনুযায়ী, এই পুরো প্রক্রিয়ার পেছনে রয়েছেন স্বয়ং বিধায়ক বিজয় মালাকার। তার নেতৃত্বেই বহু জিপিতে বুথ দখল হয়েছে বলে অভিযোগ। সুমন্ত দাস আরও বলেন, বিজেপি জানে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই।
তাই তারা ভোটের আগেই হুমকি দিয়ে বহু বিরোধী প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে। আর যেসব প্রার্থী থেকে গিয়েছেন, তাদেরও ভোটের দিন বুথ দখল করে কোণঠাসা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে দুই কংগ্রেস নেতা বলেন, “স্বৈরাচারীরা কখনো চিরকাল ক্ষমতায় থাকতে পারে না। জনগণ একদিন জবাব দেবেই।