
পরিতোষ পাল বরাকবাণী প্রতিনিধি ধর্মনগর ৩ রা মেঃ সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে ভারতীয় যুবকের সাথে বাংলাদেশি যুবতীর পরিচয় থেকে প্রেম,তারপর ভারত বাংলাদেশের কাঁটাতার অবৈধভাবে ডিঙিয়ে বিয়ে করে সংসার ও সন্তান, এতটুকু ঠিকঠাক চললেও অবশেষে সীমান্ত রক্ষী জওয়ানের হাতে আটক বাংলাদেশি নাগরিক গৃহবধূ।আটক ভারতীয় নাগরিক স্বামী সহ ভারতীয় দুই মানব পাচারকারী।
ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে ত্রিপুরার উত্তর জেলার ধর্মনগর থানাধীন ভারত বাংলা সীমান্তের রাঘনা এলাকায়। বৃহস্পতিবার অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পথে শিশু সহ এক গৃহবধূকে আটক করে রাঘনা বিওপির সীমান্ত রক্ষী জওয়ানরা। আটক করা হয় ভারতীয় নাগরিক তথা তার স্বামীকেও।জানা গেছে, ধৃত গৃহবধূর নাম হ্যাপি দেব (২০)। বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার বাঁশিপুর এলাকায়।
আর তার স্বামী কৃষ্ণচন্দ্র দেবে(২৬) এর বাড়ি ভারতের ধর্মনগর থানাধীন বারুয়াকান্দি এলাকায়। সীমান্ত রক্ষী জওয়ানের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানায়, সামাজিক মাধ্যমে তাদের পরিচয়। তারপর প্রেম ও পরে বাংলাদেশে গিয়ে প্রেমিকাকে বিয়ে করে ভারতীয় যুবক কৃষ্ণ। বিয়ের পর অবৈধভাবে ভারতে এসে স্বামীর ঘরে সংসার শুরু করে বাংলাদেশী গৃহবধূ।
এরি মাঝে গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হলে অবৈধভাবে বাংলাদেশের বাবার বাড়ি চলে যায়। সেখানে এক শিশু সন্তান জন্মের পর পুনরায় অবৈধভাবে ভারত – বাংলাদেশের সীমান্ত টপকে ভারতে প্রবেশের পথে আটকা পড়ে। গৃহবধূ ও তার স্বামী জানায়, তাদেরকে পাড়া পাড়ে সাহায্য করেছে ভারতীয় দুই মানব পাচারকারী। তাদের বক্তব্য অনুসারে সীমান্ত রক্ষী জওয়ানরা ইয়াকুব নগরের অঞ্জনা দাস(৪৫) ও আলমাছ উদ্দিন(৫১) কে আটক করেছে।
পরে শুক্রবার ধৃতদের ধর্মনগর থানার পুলিশের হাতে সমঝে দেয় সীমান্ত রক্ষী জওয়ানরা। ধর্মনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৃতিকান্ত বর্ধন জানান,গোটা ঘটনায় পাসপোর্ট এক্ট ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ধারায় মামলা রুজু করে ধৃতদের জেলা ও দায়রা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।সাথে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই মানব পাচারের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা।