
বরাকবাণী প্রতিবেদন রামকৃষ্ণনগর, ২৫এপ্রিল: মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের পেহেল গামে পাকিস্তানি জঙ্গিদের দ্বারা আতংকি হামলায় ২৮ জন ভারতীয় হিন্দু পর্যটকদের মৃত্যু হয়। এই ঘটনা সবাই জানার পর ভারতবর্ষ সহ পৃথিবীর সব জায়গায় খুব নিন্দা হয়। শুক্রবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বজরং দল রামকৃষ্ণনগর জেলার উদ্যোগে রামকৃষ্ণনগর শহরের প্রধান সড়কে এক প্রতিবাদী কার্যসূচি হয়।
প্রথমে পেহেলগামে পাকিস্তানি জঙ্গিদের হাতে নিহত হওয়া ২৮ জন হিন্দুদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। তারপর তাদের বিদেহি আত্মার চিরশান্তি কামানার জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বজরং দল রামকৃষ্ণনগর জেলার কর্মকর্তারা স্লোগান দেন যে, পাকিস্তানি হুঁশিয়ার, জিহাদিরা হুশিয়ার, হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই, জাতপাত করো বিদাই, জয় শ্রী রাম, ভারত মাতা কি জয়।
এ দিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বজরং দল রামকৃষ্ণ নগর জেলার উদ্যোগে রামকৃষ্ণনগর শহরের প্রধান সড়কের মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল জ্বালানো হয়। এই ঘটনা নিয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রামকৃষ্ণনগর জেলা সম্পাদক পৃথ্বীশ নাথ।
তিনি বলেন আজকে আমরা রামকৃষ্ণনগর জেলাতে সমবেত হয়েছি, যারা এখানে সমবেত হয়েছি তাঁদের মধ্যে আমাদের সংঘ পরিবারের বিভিন্ন আয়াম, বিভিন্ন ভাতৃ সংগঠন এবং আমাদের রামকৃষ্ণনগর অঞ্চলের বিশিষ্ট সনাতনী নাগরিকবৃন্দ, মা ও বোনেরা। বিক্ষোভ প্রদর্শন তখনই হয় যখন আমাদের দেওয়ালে পিঠ লেগে যায়। আমাদের ধর্মের উপর আঘাত আসে। আমরা যখন নির্যাতিত হই, আমরা আর কত সহ্য করব ? সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে যে ২৮ জন হিন্দু পর্যটকদের পাকিস্তানি উগ্রপন্থীরা গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে তাদেরকে আমরা সকলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাই।
তৎসঙ্গে সেইসব পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এই হত্যা লীলার প্রতিবাদ স্বরূপ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কেন্দ্রীয় স্তরের সূচনা অনুযায়ী ভারতবর্ষের বিভিন্ন জেলায় এই প্রতিবাদী কার্যসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারই সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রামকৃষ্ণ নগর জেলায়ও হচ্ছে। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে।
আমরা সবাই হিন্দুদের এক হতে হবে। এক হয়ে আমরা সবাই লড়বো। ভারত সরকার সিন্ধু জলও বন্ধ করে দিয়েছে। সিন্ধু জল বন্ধ হয়ে গেলে পাকিস্তানে হাহাকার লাগবে। প্রতিবাদী কার্যসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি অসিত বরণ নাথ, সহ সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস, রামকৃষ্ণনগর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ প্রকন্ডের সভাপতি সঞ্জীব দাস, ঋষিকেশ বৈদ্য, সত্যম চন্দ, আশীষ রায়, সুবিনয় নাথ, বিশ্বরূপ ভট্টাচাৰ্য, দিপালী চৌধুরী, রেখা ভট্টাচার্য সহ আরো অনেকেই।