
বিমল চৌধুরী বরাকবাণী প্রতিনিধি ২২ এপ্রিল: ভৈরবনগর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ঠিক আগেই তৈরি হয়েছে এক বিতর্কিত পরিস্থিতি। ফেসবুকে একটি ফেক আইডি থেকে কংগ্রেস প্রার্থী সুমন্ত কুমার দাসের ছবি ব্যবহার করে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। বিব্রত কংগ্রেস প্রার্থী তড়িঘড়ি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সুমন্ত কুমার দাস অভিযোগ করেন, এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত রাজনৈতিক চক্রান্ত। আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক বার্তা ছড়ানো হয়েছে। এর নেপথ্যে শাসক দলের হাত রয়েছে, আমি নিশ্চিত।
ঘটনার পর কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি ছুটে যান রামকৃষ্ণনগর সমজেলা কার্যালয়ে। সেখানে বিভাগীয় আধিকারিককে না পেয়ে সার্কেল অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পুরো বিষয়টি বিস্তারিত জানান। পরে রামকৃষ্ণনগর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন তিনি। থানায় দাখিল করা অভিযোগের সঙ্গে তিনি প্রমাণ-সহ ফেক আইডির স্ক্রিনশটও জমা দেন। পরে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে সুমন্ত দাস বলেন, যদি সত্যি বিজেপি উন্নয়নের কাজ করত, তাহলে এমন ভুয়া প্রচারের দরকার পড়ত না। জনগণ নিজেরাই ভোট দিত। এই ধরনের কূটকৌশল আসলে তাদের ব্যর্থতার প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, ভয় না পেয়ে সাহস দেখান। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ময়দানে নামুন। এসব ফেক আইডির পিছনে লুকিয়ে থাকবেন না। যদিও তিনি ফেক আইডির প্রকৃত মালিক সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি, তবে তার বিশ্বাস, এটি পরিকল্পিতভাবে শাসক দলের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। তিনি আশাবাদী, পুলিশের তদন্তে আসল রহস্য সামনে আসবে। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় তিনি শ্রীভূমি জেলা উপায়ুক্ত, পুলিশ সুপার, নির্বাচন আধিকারিক এবং কংগ্রেসের উর্দ্ধতন নেতাদের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন।
এদিন প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বুদ্ধ দাস, ভৈরবনগর মণ্ডল কংগ্রেস সভাপতি বিজিৎ কুমার দাস এবং মিডিয়া ইনচার্জ জামাল উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ঘটনার জেরে ভৈরবনগর জেলাজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমেই চড়ছে। এখন প্রশাসন কত দ্রুত এবং কীভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের বিরুদ্ধে।