
বরাকবাণী প্রতিবেদন রামকৃষ্ণনগর ১৩ এপ্রিল: রামকৃষ্ণনগর কেন্দ্রের নিভিয়ার পাশে থাকা হিন্দু জনবহুল গ্রামে একের পর এক গো হত্যা কে কেন্দ্র করেৎআজ সাতসকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নিভিয়া এলাকা। স্তব্ধ করে দেওয়া হয় যানবাহন চলাচল।খুলতে দেওয়া হয়নি বাজারের দোকানপাট। নিভিয়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে শুরু করে রাজপথ দখল করে চলতে থাকে বজরং দলের উত্তাল প্রতিবাদ। গোহত্যা বন্ধ কর, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করো ইত্যাদি স্লোগানে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তোলেন বজরঙ্গীরা।মোতায়েন করা পুলিশ ও সি আর পি এফ বাহিনী।
উল্লেখ্য শনিবার রাতে নিভিয়া সংলগ্ন হিন্দু বহুল রায়পুর গ্রামের এক বাড়িতে গো হত্যা সংঘটিত হওয়াকে কেন্দ্র করে রাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা গ্রাম। অভিযোগ মতে রবিবার আখিল হোসেন বড়ভূইয়া নামের জনৈক ব্যক্তির মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তার ভাইয়ের বাড়িতে শনিবার রাতে গো হত্যা করা হয়। স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনার আঁচ করতে পেরে গো হত্যা নিয়ে সরকারি বিধিনিষেধ উলঙ্ঘন ও ধার্মিক ভাবাবেগে আঘাত ঘটায় সেই বাড়ি ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে রাতাবাড়ি পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনা স্থলে ছুটে গিয়ে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে গো মাংস বাজেয়াপ্ত করে এবং ধরপাকড়ের অভিযান শুরু করে।
উল্লেখ্য ঈদের আগের রাতে ও এলাকার মাগুরা ছড়া হাতীডিপো নামের হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে অনুরূপ ভাবে গো হত্যা করা কে নিয়ে ঈদের দিন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল।সেই ঘটনার পনের দিনের মাথায় ফের এলাকার হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে গো হত্যার ঘটনায় রাবিবার উত্তেজিত হয়ে ওঠে নিভিয়া বাজার। সড়ক অবরোধ ও দোকানপাট বন্ধ করে বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে ছুটে আসেন শ্রীভূমির ডি এস পি মানস প্রতীম চৌধুরী, রামকৃষ্ণনগরের সার্কল অফিসার সৌভিক দত্ত, রাতাবাড়ির ওসি বিমল কুমার ছেত্রী।
মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ ও সি আর পি এফ বাহিনী। আন্দোলনকারীদের সাথে দফায় দফায় আলোচনায় বসেন পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। অবশেষে ঘটনার সাথে জড়িত তিন অভিযুক্ত তিন অভিযুক্ত ময়না মিঞা (৪৯)ফরিজ উদ্দিন (৪২)সাব্বির আহমেদ বড়ভুঁইয়া (৩২) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং মূল অভিযুক্ত আখিল হুসেনের কে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ ঘোষণা করায় বেলা ১১টায় অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।