
বরাকবাণী প্রতিনিধি, কচুদরম ৩রা এপ্ৰিল: রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির অধীনস্থ দক্ষিণ কৃষ্ণপুরের শিলচর অটো এজেন্সি নামক ভারত পেট্রোলিয়ামের পেট্রোল পাম্পে ফের পেট্রোল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পেট্রোল পাম্প চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে পাম্পের ম্যানেজার গণেশ সাহু ও কর্মী উত্তম কুমারকে আটক করে নিয়ে যায় তারা।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ধলাইর ভাগা এলাকার বাসিন্দা সামিম আক্তার লস্কর তাঁর ইগনিস গাড়িতে দুই হাজার টাকার পেট্রোল নেওয়ার জন্য শিলচর অটো এজেন্সি পেট্রোল পাম্পে আসেন। অনলাইনে পেমেন্ট সম্পন্ন করার পর কর্মী উত্তম কুমার গাড়িতে পেট্রোল ঢেলে দেন। তবে সামিম তখন মিটারে খেয়াল করেননি। গাড়ির চালক গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার পর দেখতে পান, ফিউল মিটারের সিগনাল আগের মতোই রয়েছে! এতে সন্দেহ হলে তাঁরা পুনরায় কর্মীর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। উত্তম কুমার শুরুতে দাবি করেন যে, পুরো দুই হাজার টাকার পেট্রোলই গাড়িতে ভরা হয়েছে।
কিন্তু পরিস্থিতি তখন মোড় নিতে শুরু করে। ম্যানেজারের রুমে গিয়ে কম্পিউটার চেক করতেই ধরা পড়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য—সামিম আক্তারকে মাত্র ২০০ টাকার পেট্রোল দেওয়া হয়েছে! এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই পেট্রোল পাম্পে ভিড় জমতে থাকে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বারবার এই পাম্পে পেট্রোল কম দেওয়ার ঘটনা ঘটছে, অথচ কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং তারা পাম্পটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার দাবিতে সরব হন। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ম্যানেজার গণেশ সাহু এবং অভিযুক্ত কর্মী উত্তম কুমারকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনা আবারও প্রমাণ করল যে, ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় যথাযথ মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকলে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সুযোগের অপব্যবহার করবেই। সাধারণ গ্রাহকদের স্বার্থে প্রশাসন কি এবার কড়া পদক্ষেপ নেবে? নাকি এই ধরনের প্রতারণা চলতেই থাকবে? স্থানীয় বাসিন্দারা এখন সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন।