
বরাকবাণী প্রতিবেদনঃকাটিগড়াঃ১৮ জানুয়ারিঃ মিথ্যা দুষ্টুমির অভিযোগ তুলে নির্দোষ অবুঝ পড়ুয়াকে বেধড়ক মারপিট পূর্ব কাটিগড়ার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টান স্ট্যানফোর্ড পাবলিক স্কুলের শিক্ষক সফরুল আলমের। জঘন্যতম এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার আনুমানিক ১১.৩০ টা নাগাদ। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি বিরাজ করছে শিবনারায়ণপুর স্ট্যানফোর্ড পাবলিক স্কুলে। পড়ুয়াকে অমানবিক ভাবে বেধড়ক মারপিট ও শাস্তির অভিযোগ উঠেছে এই নরপিশাচ শিক্ষক সফরুল আলমের বিরুদ্ধে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে এই স্কুলের ষষ্ট শ্রেণীর ছাত্র আফরুজ মাহির খানকে মিথ্যা দুষ্টুমির অভিযোগ এনে স্কুল শিক্ষক সফরুল আলম দীর্ঘ ১ ঘণ্টা অমানবিক ভাবে শারীরিক নির্যাতনের ফলে মাথা ঘুরিয়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এই অবুঝ স্কুল ছাত্রটি। সম্পূর্ণ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে স্কুল পরিচালন সমিতি। উল্লেখ্য স্কুল পরিচালন সমিতির অন্যতম এক সদস্য স্কুল ছাত্র আফরুজ মাহির খানকে এই নরপিশাচ শিক্ষকের বেধড়ক মারধরের ফলে অজ্ঞান করে ফেলার পর ছাত্রটিকে নিয়ে স্কুল কমন রুমে রেখে ছাত্রটির অভিভাবককে মিথ্যা বলে ফোনেযোগে জানান যে ছাত্রটি শাসকষ্টজনিত যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। তড়িঘড়ি ছাত্রটির অভিভাবক বের হওয়ার আগেই পরিচালন সমিতির এই অন্যতম সদস্য একটি গাড়ি দিয়ে এই অজ্ঞান ছাত্রটিকে তার অভিভাবকের কাছে সমজিয়ে দিতে বাড়িতে নিয়ে এসে আবারো মিথ্যা ভাবে বলেন যে আফরুজ মাহির খান শাসকষ্টজনিত যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। ছাত্রটির অবস্থা বেগতিক দেখে সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকগণ তাকে কাটিগড়া এম জি মডেল হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু সেখানে ছাত্রটির অবস্থা শোচনীয় দেখে কাটিগড়া এম জি মডেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠান। শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করে অসুস্থ ছাত্রটিকে মেডিকেল থেকে ছুটি দিয়ে বাড়িতে বিশ্রামে রেখে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। সরকার শিক্ষার মানদণ্ড বাড়াতে রাজ্যের কর্মবীর মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলিতে এই বেআইনভাবে প্রহার করা অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য অভিযোক্ত এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এধরণের আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে। কলংকিত এই শিক্ষক ইতিমধ্যে এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা করেছেন বলে স্থানীয় অনেক অভিভাবকদের অভিযোগ। এই প্রতিবেদন আমাদের কাছে পৌঁছা পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষক সফরুল আলমের বিরুদ্ধে পরিবারের পক্ষ থেকে কাটিগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি সম্পর্কে স্কুলের অধ্যক্ষ দীপঙ্কর চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র মতে অভিযুক্ত শিক্ষক সফরুল আলমকে যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ। ঘটনাটির উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান এলাকার বুদ্ধিজীবীগন।
