
বরাকবাণী প্রতিবেদনঃধলাইঃ১৮ জানুয়ারিঃ রাস্তায় গুলি চালানোর পাশাপাশি দলবদ্ধ আক্রমণের ঘটনায় আহত খুসবুল হক লষ্কর সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।১১জনকে অভিযুক্ত করে ধলাই থানায় মামলা দায়ের করল খুসবুলের পরিবার সদস্যরা। দলবদ্ধ প্রাণঘাতী আক্রমণের শিকার হয়ে বর্তমানে শিলচর চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় ও হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে ধলাই জামালপুরের বাসিন্দা খুসবুল হক লষ্কর। প্রাণঘাতী এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১২জনের বিরুদ্ধে ধলাই থানায় একটি মামলা দায়ের করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনা নিয়ে শনিবার পরিবারের তরফে মজিবুর রহমান লষ্কর জানান,গত বৃহস্পতিবার খুসবুল হক লষ্কর স্থানীয় খুলিছড়া বাজেরে সব্জি ক্রয় করতে গিয়েছিলেন এবং বাজার থেকে গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ কিছু দুষ্কৃতকারীরা খুসবুলকে রাস্তায় আটকে বেধড়ক মারপিট করে। সেসময় নূরুল হক তাঁকে বাঁচাতে গেলে দুষ্কৃতকারীরা তাঁর ডান হাতের দুটি আঙুল কেটে দেয়। এবং খুসবুলকে বন্দুকের কুন্দা দিয়ে আঘাত করে।এরপর দুষ্কৃতকারীরা শূন্যে একটি গুলিও চালায়।ফলে খুসবুল অজ্ঞান অবস্থায় গাড়ি নিয়ে একটি সুপারি গাছে ধাক্কা মারে এবং গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়াতেই দুষ্কৃতকারীরা ফের দলবদ্ধ আক্রমণ চালিয়ে খুসবুলের কমরের হাঁড় ভেঙে দেয়। মজিবুর রহমান লষ্কর আরও জানান প্রাণঘাতী এই হামলার ঘটনায় আলি হুসেন,আমির সুলতান আজাদ ও মামন নামের তিনজন জড়িয়ে রয়েছে।এই তিন ব্যক্তি অবৈধ সুপারি ব্যবসার পাশাপাশি ড্রাগস ও অস্ত্র সরবরাহ দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছে। বর্তমানে তাঁদের কাছে রয়েছে বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্র। ঘটনার দিনেও দুষ্কৃতকারীদের হাতে দুটি বন্দুক ছিল,যার সাক্ষী রয়েছে চারজন ব্যক্তি। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশের নজরে আনলেও তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মজিবুর রহমান। তবে প্রাণঘাতী আক্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১১জনের বিরুদ্ধে ধলাই থানায় মামলা দায়ের করলে সিদ্দেক নামের এক পুলিশ কর্মী ঘটনাকে মিমাংসা করা কথা বলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ মুজিবুরের। এলাকার ছোটখাটো বিভিন্ন ঘটনাও পুলিশ কর্মী সিদ্দেক ধামাচাপা দিয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ঘটনার সুবিচার চেয়ে মজিবুর রহমান লষ্কর পুলিশ সুপার নোমাল মাহাত্তা ও মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মার দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে অভিযুক্তদের কাছে থাকা অস্ত্র-শস্ত্রগুলো বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানিয়েছেন। অন্যথায় আগামীতে এলাকায় অনেক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাবে বলে এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।