
বরাকবাণী প্রতিবেদনঃশিলচরঃ১৫জানুয়ারিঃ বুধবার সন্ধ্যায় শিলচর বঙ্গভবনের ভাষা শহিদ স্মৃতি মঞ্চে শিলচরের ঐতিহ্যশালী সুরশ্রী সঙ্গীতকলা একাডেমীর গৌরবময় ২৫ বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনের মনোরম পরিবেশের মধ্য পালিত হয়। এদিন সম্মানিত মূখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, সঙ্গীত শিল্পী পঙ্কজ নাথ,আকসা ছাত্র সংস্থার উপদেষ্টা রূপম নন্দী পুরকায়স্থ,ডন বস্কো স্কুলের উপাধ্যক্ষ ফাদার জোস ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ব্রাদার বসকো এক্কা,গৌতম সিনহা, অধ্যাপক সুজিত ঘোষ, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক গণেশ নন্দী, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী লেইচনন্দন সংস্থার দীলিপ সিনহা,বিপ্লব পাল, সৌরভ দেব,মৃতু্ঞ্জয় দাস প্রমূখেরা প্রথমে পঞ্চপ্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির শুভারাম্ভ করেন।এরপর মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে ও হাতে একটি করে স্মারক সহ ফুল গাছের চারা গাছ তুলে দিয়ে সম্মান জানানো হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় থাকা দেবদুলাল মালাকার সুরশ্রী সঙ্গীতকলা একাডেমীর গৌরবময় ২৫ বছরের ইতিহাসের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।বক্তব্যে বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী বলেন সুরশ্রী সঙ্গীত কলা একাডেমি ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে , এটা নিতান্তই গৌরবের বিষয়। ভারতীয় সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ছোট ছোট সংস্থাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের প্রত্যেক অঞ্চলের স্থানীয় কৃষ্টি সংস্কৃতি ও খেলাধুলোর সার্বিক উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার সক্রিয়তার সহিত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিশেষ উদ্যোগে রাজ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতির অগ্রগতির পরিকাঠামো উন্নয়নে লাগাতার প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিকতার দরুন শিলচরের জেলা গ্রন্থাগারের কাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হতে চলেছে।রূপম নন্দী পুরকায়স্থ বলেন সুরশ্রী সঙ্গীত কলা একাডেমি সুদীর্ঘ ২৫ বছর ধরে শিলচর তারাপুর থেকে গোটা অঞ্চলে সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান অব্যাহত রেখে চলেছে। তিনি সবসময় এই একাডেমীর পাশে থাকবেন বলে জানান।আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক গণেশ নন্দী বলেন সাংস্কৃতিক কর্মসূচির উন্নয়নে সুরশ্রী সঙ্গীত কলা একাডেমি কাজ করছে। মিলি সিনহা ও তাঁর বদন সিনহার নিরলস প্রচেষ্টার জন্য সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞ এগিয়ে চলেছে। বহুপ্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব মিলি সিনহার সঠিক অভিভাবকত্বের জন্য কচিকাচা শিশুদের নাচ গান চর্চার মাধ্যমেই মসৃণগতিতে তাদের মানসিক বিকাশ ত্বরান্বিত হচ্ছে। এটা অত্যন্ত গৌরব ও খুশির বিষয়।পরবর্তী সময়ে মঞ্চে একনাগাড়ে এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি নাট্য একাডেমীর বিভিন্ন বয়সের শিল্পীরা বিভিন্ন ধরনের নৃত্য পরিবেশন করেন উপস্থিত দর্শকদের মন কেড়ে নিতে সক্ষম ও উপস্থিত সবাই সুরশ্রী সঙ্গীতকলা একাডেমীর প্রধান শিক্ষকা মিলি বদন সিনহা এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান।
