
বরাকবাণী প্রতিবেদনঃপরিতোষ পালঃ ধর্মনগরঃ১২জানুয়ারিঃ আর হাতে সময় মাত্র কয়েকয়ঘন্টা। রাত পোহালেই হিন্দুদের বারো মাসে তেরো পার্বনের আরো এক পার্বন পৌষ সংক্রান্তি তথা পিঠেপুলি উৎস। পৌষ পার্বনকে ঘিরে ঘরে ঘরে এখন যেমন ব্যাস্ততা তুঙ্গে ঠিক তেমনি সংক্রান্তির আগের রাতের প্রাচীন ঐতিহ্য তথা ন্যাড়া এবং খড়ের তৈরী বুড়ি ঘরে চড়ুইভাতি করার প্রস্তুতি চলছে গ্রামাঞ্চলের কচিকাচা থেকে যুবদের মধ্যে।
ঊনকোটি জেলার গ্রামীন অঞ্চল ফটিকরায় বিধানসভার কিছু কিছু জায়গায় ধরা পড়লো বুড়িঘর তৈরীর সেই প্রাচীন দৃশ্য। মূলত বাড়ীর বাইরে খড় বা ধানের ন্যাড়া দিয়ে ঘর বানিয়ে তার ভেতরে রান্না করে খাওয়া দাওয়ার প্রথাই বুড়ি ঘরের প্রাচীন ঐতিহ্য। কিন্তু বর্তমান আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেকটাই যেন হারিয়ে যেতে বসেছে সেই রিতী। অবশ্য কিছু কিছু জায়গায় এখনো সেই প্রাচীন প্রথাকে আনন্দ উল্লেসের মাধ্যম রূপে টিকিয়ে রাখতে দেখাগেলো তরুন প্রজন্মকে। ফটিকরায়ের রাজেন্দ্র নগর এলাকায় যুবকরা মিলে হাত লাগিয়েছেন সেই বুড়িঘর তৈরীতে। এলাকার যুবক মৃদুল মালাকার জানিয়েছেন বিগত সাত থেকে আট বছর ধরে এই বুড়ীঘর তৈরী করে আসছেন তারা। কিন্তু বর্তমানে খড় এবং পর্যাপ্ত বাঁশ মেলেনা তাই শহর অঞ্চলে এসব প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে এখনো কিছুটা টিকে আছে সেই রেওয়াজ। বিগত এক সপ্তাহ ধরে ন্যাড়া এবং বাঁশ সংগ্রহ করে সংক্রান্তির আগের রাতে পিকনিকের জন্য তারা বুড়ির ঘর তৈরী করছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে তরুনীনগর এলাকার বিশাল মালাকার নামের এক শিশু জানালো গ্রামের মানুষকে নিয়েই এখানে হয় পিকনিকের আয়োজন। তাই জোর কদমে চলছে বুড়িঘর তৈরীর কাজ। রাতে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া আর আনন্দ উল্লাসের পর সকালে স্নান সেরে পোড়ানো হবে ন্যাড়ার তৈরী এই বুড়িঘর।
বুড়ির ঘর তৈরীকে ঘিরে এখন রিতিমতো ব্যাস্ততার ধুম গ্রামাঞ্চলে। শহরাঞ্চলে ধীরে ধীরে এসব বিলুপ্তির পথে গেলেও গ্রামাঞ্চলে যে এখনো কিছুটা টিকে রয়েছে প্রাচীন ঐতিহ্য তার উদাহরন ফটিকরায় বিধানসভার বিভিন্ন গ্রামে তৈরী হওয়া এসব বুড়ির ঘর। পৌষ পার্বনকে ঘিরে ব্যাস্ততা তুঙ্গে বাঙালীর ঘরে ঘরে।