
বরাকবাণী প্রতিবেদন কাবুগঞ্জ ২৪ মেঃ শুক্রবার দুপুরে কাবুগঞ্জ-আমড়াঘাট সড়কের দর্মী কল্যাণপুর এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে চার বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী। আহত শিশুটির নাম পুনম পাল। বর্তমানে সে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেপরোয়া গতির একটি অটোরিকশা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার আনুমানিক দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে পুনম তার মায়ের সঙ্গে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। কল্যাণপুর এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি অটোরিকশা পুনমকে সজোরে ধাক্কা দেয়। মুহূর্তেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছোট্ট পুনম। ঘটনার আকস্মিকতায় স্তব্ধ হয়ে যায় উপস্থিত সবাই।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান পালংঘাট হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা পুনমের শারীরিক অবস্থা গুরুতর দেখে সঙ্গে সঙ্গে তাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। স্বজনরা দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে মেডিকেলে নিয়ে যান, বর্তমানে সেখানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে, তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শিশুটির পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে গোটা পরিবেশ।
এদিকে দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত অটোরিকশাটি পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এই সড়কে বেপরোয়া গতির অটোর চলাচল এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। বহুবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, অটোর চালকরা কোনোরকম ট্রাফিক নিয়ম মানে না, যাত্রী ভরতি অবস্থায়ও তারা বেপরোয়া গতিতে যান চালিয়ে চলেছেন।
একজন স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, যদি প্রশাসন আগেভাগে কঠোর পদক্ষেপ নিত, তাহলে আজ পুনমের মতো নিষ্পাপ শিশু এমন অবস্থায় পড়তো না। এখন প্রশ্ন উঠেছে, এসব বেপরোয়া চালকদের লাগাম টানবে কে? শিশু পুনমের জীবন ঝুঁকিতে থাকা অবস্থায় পুরো এলাকাবাসী আজ একটাই প্রশ্ন করছে—এই অমানবিক বেপরোয়া চালকদের দায় কে নেবে?