
বরাকবাণী প্রতিবেদন হাইলাকান্দি, ২০ এপ্রিল: দুদিনের বরাক সফরের অংশ হিসাবে হাইলাকান্দিতে উপস্থিত বিজেপির রাজ্যিক সভাপতি দিলীপ শইকিয়া। প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো হাইলাকান্দি জেলায় আসতেই রাজ্যিক সভাপতিকে জাঁকালো সংবর্ধনা জানানো হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাইলাকান্দিতে জোর কদমে প্রচারে নেমেছে বিজেপি।
এই উপলক্ষ্যে আজ জেলার কালাছড়া এন টি মডেল স্কুলের খেলার মাঠে এক বিশাল জনসভায় অংশ গ্রহণ করেন অসম প্রদেশ বিজেপির সভাপতি দিলীপ শইকিয়া। দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে এবং ভোটারদের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে এই সফরকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। হাইলাকান্দিতে বিজেপির মনোনীত জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন, মিত্র দল অগপ-এর প্রার্থী রয়েছেন তিনজন, এবং আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩২ জন।
জনসভা ছাড়াও দিলীপ শইকিয়া গুরুত্বপূর্ণ দলীয় বৈঠকে অংশ নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণকৌশল চূড়ান্ত করতে উনার এই বরাক সফর। স্থানীয় নেতৃত্বকে আরও সক্রিয় করে তোলার পাশাপাশি নির্বাচনী ময়দানে বিজেপির প্রভাব বাড়াতেই এই সফর বিজেপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, তিনি সভায় ক্যাশ ফর সিট প্রসঙ্গে কংগ্রেসের ক্ষুরধার সমালোচনা করেন।

পাশাপাশি প্রদেশ সভাপতি শইকিয়া বলেন হাইলাকান্দি জেলাকে ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা’ হিসেবে ঘোষণা করে ভারতের এক সর্বোচ্চ উন্নত জেলার মর্যাদায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শক্তিশালী আসামের শক্তিশালী পঞ্চায়েতরাজ গঠনের লক্ষ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ও এনডিএ মিত্রজোটের প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করতে হাইলাকান্দি জেলার উন্নয়নযাত্রায় আরও গতি আনার জন্য জনসমক্ষে আহ্বান জানান প্রদেশ সভাপতি। সভা শেষে হাইলাকান্দি জেলা বিজেপির কার্যালয়ে এক কর্মীসভায় দলীয় কর্মকর্তাদের সাথে মিলিত হন। প্রদেশ সভাপতি দিলীপ শইকীয়া।
এদিকে প্রদেশ সভাপতি দিলীপ শইকিয়া জেলা বিজেপি কার্যালয় কার্যকর্তা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ন্যাশনাল হেরাল্ড সম্বন্ধে বলতে গিয়ে জানান, ন্যাশনাল হেরাল্ড কেইস ভারতবর্ষের সম্পদ, ভয়ঙ্কর ভাবে যে লুণ্ঠনরাজ চালিয়েছে কংগ্রেস সহ সোনিয়া গান্ধীর রাহুল গান্ধীর একটি বিশেষ পরিবার যারা বেইলে রয়েছে ভাগ্য ভালো তারা জেলে নেই।
তাদের বিরুদ্ধে ভয়ংকর কেলেঙ্কারি এবং সম্পত্তি লুণ্ঠনের যে মামলা চলছে সেই সাপেক্ষে দিলীপ সইকিয়া বলেন, কংগ্রেসের যদি সৎসাহস থাকে তাহলে ইডির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করে ইডিকে সমর্থন করা উচিত। হাইলাকান্দির কার্যক্রম শেষ করে তার পর প্রদেশ সভাপতি দিলীপ শইকিয়া শ্রীভূমির উদ্দেশে রওনা দিলেন।
আজকের এই সভায় প্রদেশ সভাপতি দিলীপ শইকীয়ার সাথে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির হাইলাকান্দি জেলা সভাপতি কল্যাণ গোস্বামী, রাজ্যের মন্ত্রী কৌশিক রায়, মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল, করিমগঞ্জ লোকসভার সাংসদ কৃপানাথ মাল্লা, বিজেপি এসসি মোর্চার রাজ্যিক সভানেত্রী মুন স্বর্ণকার, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলার সহ প্রভারী সুব্রত ভট্টাচার্য, সহ ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যান্য বরিষ্ঠ নেতৃত্ববৃন্দ।