বরাকবাণী প্রতিবেদন বড়খলা ২৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় দেশের দরিদ্র ও গৃহহীন পরিবারের জন্য সঠিকভাবে বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যে জিও ট্যাগ প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপযুক্ত হিতাধিকারীদের শনাক্ত করা হয় এবং সরকারি সুবিধা তাদের কাছে পৌঁছানো হয়। কিন্তু, কাছাড় জেলার ধলছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একাংশ দরিদ্র পরিবার এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশ উপেক্ষা করে আত্ম সহায়ক দলের জীবিকা শখী সপ্না ধর দেব সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে নিজের বাড়িতে বসে জিও ট্যাগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করছেন। নিয়ম অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সুবিধাভোগীদের বাড়িতে গিয়ে জিও ট্যাগ করতে হয়, যাতে প্রকৃত হিতাধিকারীরা সঠিকভাবে এই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান। কিন্তু সপ্না ধর দেব এই নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজের বাড়িতে বসেই জিও ট্যাগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই বেআইনি ও নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপের ফলে প্রকৃত দরিদ্র ও অসহায় পরিবারগুলি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারি প্রকল্পের নিয়ম মেনে কাজ না হওয়ার কারণে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের নাম বাদ পড়ছে, অন্যদিকে অযোগ্য ব্যক্তিরাও সুবিধা পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বহু দরিদ্র পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার আশায় অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু জীবিকা শখীর এই অনিয়মের কারণে তারা ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেকের আবেদনপত্র গৃহীত হলেও সঠিকভাবে জিও ট্যাগ না হওয়ায় তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার এলাকাবাসী, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে, একত্রিত হয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তাদের ক্ষোভ উগরে দেন। তারা প্রশাসনের গাফিলতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান এবং বলেন, যদি সঠিক সময়ে নজরদারি চালানো হতো, তাহলে এমন অনিয়ম সম্ভব হতো না। স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করে ধলছড়া জিপি এলাকায় পুনরায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জিও ট্যাগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। প্রকৃত হিতাধিকারীদের যাতে এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হতে না হয়, তার জন্য প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়াও, অভিযুক্ত জীবিকা শখী সপ্না ধর দেবকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাদের মতে, ধলছড়া জিপিতে তিনি যেভাবে নিয়ম ভেঙে কাজ করছেন, তা এলাকার দরিদ্র জনগণের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিষয়ে শুক্রবার কালাইন ডেভেলপমেন্ট ব্লকের বিডিওর কাছে একটি স্মারকপত্রও জমা দেন তারা। তবে গ্রামবাসীদের দাবি, যদি দ্রুত সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে বাধ্য হবেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান।