
বরাকবাণী প্রতিবেদন, ধলাই ৩০শে জানুয়ারিঃ ভাগা-শেরখান সড়কের রুকনি নদীর উপর নির্মীয়মান সেতুর কাজ পরিদর্শন করলেন সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্য ও বিধায়ক নীহার রঞ্জন দাস। মঙ্গলবার রাত প্রায় আটটা নাগাদ পূর্ত বিভাগের ধলাই- সোনাই ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সাকিল আহমেদ লস্করকে সঙ্গে নিয়ে সেতুটির কাজ তদারকি করেন পরিমল শুক্লবৈদ্য ও নীহার রঞ্জন দাস। তবে এনিয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও ওই সেতুর নির্মাণ কাজে অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠায় সাংসদ ও বিধায়ক নারাজ রয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ধলাই বিধানসভার ভাগাবাজারে রুকনি নদীর উপর নির্মিত সেতুর কাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। বিভাগীয় নিয়মনীতিকে লঙ্ঘন করে ভাগা-শেরখান সড়কের রুকনি নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্মাণ কাজে জনগণকে অন্ধকারে রেখে তথ্য ফলক না লাগিয়ে কাজ করছেন ঠিকাদার। কোন প্রকল্পের আওতায় কাজ হচ্ছে, বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ কতো এবং কাজের বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার কে রয়েছেন, তা তথ্য ফলক না থাকায় সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছেন জনগণ। নির্মাণ কাজে পুরাতন লোহা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জনগণের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি ভেঙে পড়ার পর পুরাতন লোহার জয়েষ্ট, পাত, রেলিং ইত্যাদি খুলে চান্নিঘাটের কোন এক জায়গায় রেখে তা আবার প্রাইমারের প্রলেপ লাগিয়ে নতুন করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং এগুলি পুনরায় ব্যবহার করা হচ্ছে । জনগণকে অন্ধকারে রেখে
পুরাতন পিলারের ওপর, পুরাতন লোহা দিয়ে নতুন সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে দেখিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সন্দেহ স্থানীয়দের।


উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টা নাগাদ অতিরিক্ত বার বহন করতে না পেরে ভেঙে পড়েছিল ভাগা-শেরখান সড়কের রুকনী নদীর উপর নির্মিত পাকা সেতুটি। সেই থেকে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন নদীর ওপারের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ সহ মিজোরামের এক বৃহৎ অংশের মানুষ। সংশ্লিষ্ট বিভাগ হালকা বাহন নিয়ে যাতে জনসাধারণ পারাপার করতে পারেন এমন একটি সাব ওয়ে নির্মাণ করার কথা ছিল। দুর্ভাগ্যবশত তিন তিনবার বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পায়ে হেঁটে চলাচলের ব্যবস্থাটুকুও ভালোভাবে করে দিতে পারেনি বিভাগ। কাঠ ও বাঁশ দিয়ে একটি সাবওয়ে নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে যদিও বাঁশের ছাউনি ইতিমধ্যে ভেঙ্গে তরজা তরজা হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার রাতে বিভাগীয় এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সাকিল আহমেদ লস্করকে সঙ্গে নিয়ে সাংসদ ও বিধায়কের সেতু নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সচেতন মহল।