
বরাকবাণী প্রতিবেদন, সোনাইঃ, ২৭ জানুয়ারি: শিলচর-আইজল সংযোগকারী ৩০৬ নম্বর জাতীয় সড়কের দুরবস্থা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ধুলোর ঝড় ও কৃত্রিম যানজট স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। সোমবার, জনগণের ক্ষোভ ফেটে পড়লো। বেলা ১২টার দিকে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি, নাগরিক সমাজ এবং স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোনাবাড়িঘাট এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। আন্দোলনকারীদের দাবি—অবিলম্বে সড়ক সংস্কার করতে হবে এবং যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, জাতীয় সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার শিকার। ধুলোবালির কারণে এলাকাবাসী শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। স্কুল-কলেজে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীদেরও মারাত্মক ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। উপরন্তু, কৃত্রিম যানজট পণ্য পরিবহন এবং জরুরি সেবায় বাধা সৃষ্টি করছে। সোনাবাড়িঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সমাজকর্মী সামসুল ইসলাম বড়ভূইয়া জানিয়েছেন, গত সাত-আট মাস ধরে এই সমস্যায় ভুগছেন এখানকার মানুষ। বর্ষার সময় কাদার সমস্যা, আর শুকনো মৌসুমে ধুলোর ঝড় রাস্তাঘাটে চলাচলকে একেবারে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও এই পরিস্থিতিতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। কাদা আর ধুলোবালির কারণে তাদের পণ্য পরিবহন ও ক্রেতাদের যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বসবাসকারী মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা দাবি তুলেছেন, যতদিন পর্যন্ত রাস্তার স্থায়ী সংস্কার এবং মেরামতের কাজ সম্পন্ন না হয়, ততদিন আন্দোলন চলবে। স্থানীয় বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন করেছেন, তবে তাতে কোনো ফল মেলেনি। তাদের দাবি, প্রশাসনের উদাসীনতা এবং কর্তৃপক্ষের অনাগ্রহই এ সমস্যার মূল কারণ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তারা বহুবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েও কোনো সুফল পাননি। বাধ্য হয়েই আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন। এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা আর চুপ থাকতে পারি না। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামতে বাধ্য হবো।”