
প্রতারক শাকির তার দালালদের প্রলোভনে দ্রুত ধনী হওয়ার লোভে মানুষ ভুয়ো ট্রেডিং চক্রের ফাঁদে ই- রিষ্কা চালক নিত্যদিনের আয়ের উৎসকে বিক্রি করে ভুয়ো শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ বিলাসবহুল গাড়ি ও চটকদার কথাবার্তায় মানুষ সর্বস্বান্ত, শাকির ভাইয়ের অবৈধ ট্রেডিংয়ের ফাঁদে সর্বস্বান্ত বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজার প্রতারণা: বরাক উপত্যকার তিন জেলায় মামলা করার প্রস্তুতি
ড. নিখিল দাশঃ
বরাকবাণী,শিলচরঃ ১২জানুয়ারিঃ বরাক উপত্যকায় শেয়ারবাজারের নামে প্রতারণার ঘটনা ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে। প্রতারক শাকির এবং তার দালাল মুন্না, ইফজাল জাফর, আবু জোহর, আসফাক যাওয়ারুল, আসফাক তামিম এবং জাকার দের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীরা আইনত পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, এই প্রতারক চক্র শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারকদের প্রধান শাকির এবং তার সহযোগীরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। শাকির তার দালালদের দামি গাড়ি উপহার দিয়ে তাদের কাজে উৎসাহিত করত। এই টাকার একটি বড় অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ না করে রিয়েল এস্টেটে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতারণার এই ঘটনা শুধু শ্রীভুমি নয়, বরাকের হাইলাকান্দি এবং কাছাড় জেলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতারণার শিকার বিনিয়োগকারীরা এখন প্রতারকদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জানা গেছে, আগামী বুধবার থেকে বরাক উপত্যকার তিন জেলা থেকে মামলা করা শুরু হবে। আইনত পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন, যাতে এই ধরনের প্রতারণার ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, দ্রুত ধনী হওয়ার লোভে অনেক মানুষ ভুয়ো ট্রেডিং চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছেন। এ চক্রের দালালরা খাতা-কলমে এমন এক কল্পিত বিনিয়োগ পরিকল্পনা দেখায় যা সাধারণ মানুষের চোখে স্বপ্ন জাগায়। দালালদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাদের ফর্মুলা অনুসরণ করলেই মাত্র তিন মাসে একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী হয়ে উঠবেন কোটিপতি। দালালরা প্রথমেই বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস অর্জন করতে তাঁদের সামনে গড় লাভের হিসাব তুলে ধরে। এরপর তারা কিছু প্রাথমিক মুনাফা দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের আরও বড় অঙ্কের অর্থ লগ্নি করতে উদ্বুদ্ধ করে। এই মুনাফার প্রলোভনে অনেকেই তাঁদের সঞ্চিত অর্থ থেকে শুরু করে ঋণ নিয়ে বা স্বর্ণ অলংকার বন্ধক রেখে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু বাস্তবে এসব দালালের কোনো ট্রেডিং পরিকল্পনা নেই। এদের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো সাধারণ মানুষের পরিশ্রমের অর্থ আত্মসাৎ করা।


অভিযোগ উঠেছে, ভুয়ো ট্রেডিং চক্রের প্রধান এবং তাঁর সহযোগীরা এই অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। তাঁরা কেউ কেউ দামি গাড়ি, বাড়ি এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলছে, যাতে তাঁদের ধোঁকাবাজি সহজে ধরা না পড়ে। এমন চক্রের শিকার হয়ে বারাক উপত্যকার অনেক মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। দালালদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করলেও সঠিক তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
এদিকে ভুয়ো ট্রেডিং চক্রের দালালরা চোখে রঙিন স্বপ্ন আর