
ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা আমসুর শ্রীভূমি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহান চৌধুরীর
বরাকবাণী প্রতিনিধি মইনুল হক শ্রীভূমি ১৪জানুয়ারিঃ গত ৪ জানুয়ারি এম কে গান্ধী কলেজে ঘটে যাওয়া এক ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অধ্যক্ষ ইকবাল আহমেদ চৌধুরী দশম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে নির্মমভাবে প্রহার করেছেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সারা আসাম সংখ্যালঘু ছাত্র ইউনিয়নের (আমসু) শ্রীভূমি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহান চৌধুরী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
জানা যায়, ঘটনার দিন দশম শ্রেণির দুই ছাত্রী কলেজ প্রাঙ্গণে নিজেদের গাড়িতে বসে ছিলেন। সে সময় দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্র গাড়িতে ওঠেন এবং এ দৃশ্যটি এক সহপাঠী ক্যামেরায় বন্দী করে অধ্যক্ষের কাছে পাঠায়। ভিডিওতে কোনো অনৈতিক বা অশ্লীল কার্যকলাপ না থাকলেও অধ্যক্ষ ইকবাল আহমেদ চৌধুরী ছাত্রীদের কোনো বক্তব্য না শুনে নির্মমভাবে প্রহার করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এক ছাত্রীকে লাথি মেরে সিঁড়ি থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষকদের কক্ষে নিয়ে উভয় ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে অধ্যক্ষ পুরো ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ছাত্রীদের পরিবারকে ভয় দেখিয়ে বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এতে ছাত্রীদের পরিবার গভীরভাবে আতঙ্কিত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
জাহান চৌধুরী খবর পেয়ে ছাত্রীর ঘরে গিয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি নিজেই নির্মম প্রহারের দৃশ্য দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ মতে, আশ্চর্যজনক ভাবে ছাত্রীদের মারধর ও নির্মম প্রহার করলেও অভিযুক্ত ছাত্রদের কোনকিছুই করেননি অধ্যক্ষ! উল্টো ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কলেজের অন্যান্য ছাত্রদের মাধ্যমে প্রহারের শিকার ছাত্রীদের পরিবারকে ভয় দেখাচ্ছেন অধ্যক্ষ ইকবাল আহমেদ চৌধুরী। জাহান চৌধুরী বলেন, মাত্র দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে লাথি মেরেও কান্ত হননি অধ্যক্ষ, পরে শিক্ষকদের কক্ষে নিয়ে মাথায় ও পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্মমভাবে প্রহার করেন উভয় ছাত্রীদের। এছাড়াও অতীতে কলেজকে কেন্দ্র করে আরো কয়েকটি অরাজকতা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেন শ্রীভূমি জেলা আমসুর সাধারণ সম্পাদক জাহান চৌধুরী।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমসু এবং স্থানীয় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা অবিলম্বে অধ্যক্ষ ইকবাল আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে কলেজের শিক্ষার পরিবেশ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন।