বরাক উপত্যকার বাউলগান: হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য

বরাক উপত্যকার গ্রামাঞ্চলে একসময় বাউলগানের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। প্রেম, ভক্তি, আর দার্শনিক ভাবনার মেলবন্ধনে বাউলগান এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তবে, আধুনিকতার প্রভাবে এই ঐতিহ্য আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাউলগান পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলির সক্রিয় উদ্যোগ প্রয়োজন। স্থানীয় মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাউলগানের প্রচার বাড়াতে হবে।

  • Related Posts

    রাত পোহালেই হিন্দুদের বারো মাসে তেরো পার্বনের

    ঊনকোটি জেলার গ্রামীণ অঞ্চলে, বিশেষত ফটিকরায়, পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে “বুড়ি ঘর” (খড় ও বাঁশ দিয়ে তৈরি একটি ঘর) তৈরির প্রাচীন ঐতিহ্য এখনও জীবন্ত। আধুনিকতার প্রভাব বৃদ্ধির পরেও, রাজেন্দ্র নগর গ্রামসহ অন্যান্য গ্রামে যুবকরা এই প্রাচীন রীতিকে রক্ষা করে হ্যান্ডস-অনভাবে বুড়ি ঘর তৈরি করছে। এই ঘরে রান্না করা এবং একসাথে খাওয়ার প্রথা গ্রামের মানুষের মধ্যে ঐক্য ও আনন্দ সৃষ্টি করে, যা গ্রামবাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।

    বরাকের নাট্য আন্দোলন: সময়ের প্রয়াস

    বরাক উপত্যকায় একসময় নাটক ছিল সংস্কৃতির প্রাণ। শিলচর রবীন্দ্রভবন এবং অন্যান্য স্থানীয় মঞ্চে বিভিন্ন নাট্যগোষ্ঠী তাদের সৃজনশীল নাটক পরিবেশন করত।তবে, বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমের আধিপত্যে নাটক দর্শকের অভাবে সংকটে পড়েছে।…