
পরিতোষ পাল বরাকবাণী প্রতিনিধি ধর্মনগর ২৩ এপ্রিল: অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, খোদ জেলা হাসপাতালে বিগত দশ দিন ধরে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিসেবা লাঠে উঠেছে। রোগী সহ রোগীর আত্মীয় স্বজনরা ক্ষোভে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে গালিগালাজ করতেও শোনা গেছে। ঘটনা ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে। উল্লেখ্য কৈলাসহরের ভগবান নগর এলাকায় অবস্থিত ঊনকোটি জেলা হাসপাতাল। এই জেলা হাসপাতালে বিগত দশ দিন ধরে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই।
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীরা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসার পর চিকিৎসককে না পেয়ে চিকিৎসা না করিয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে তো চার পাঁচ দিন ধরে লাগাতার জেলা হাসপাতালে এসেও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে মিডিয়ার প্রতিনিধিদের কাছে কোনো মন্তব্য করতেও নারাজ। অভিভাবকরা শিশুদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এনে কেউ কেউ নিজের শিশুদের ভর্তি করিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
এমতাবস্থায় রোগীর আত্মীয় স্বজনরা জেলা হাসপাতালে এসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিশ্রী ভাবে গালিগালাজও করছেন। এত কিছুর পরও জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদাসীন। বিশেষ এক সূত্র থেকে জানা যায় যে, জেলা হাসপাতালে একজন মাত্র শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। এবং জেলা হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যিনি কর্মরত ছিলেন উনি এক দুর্ঘটনায় আঘাত পেয়ে বাড়িতে বিছানায় শয্যাশায়ী রয়েছেন।
উনার পরিবর্তে অন্য কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে জেলা হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে না। এরফলেই জেলা হাসপাতালে শিশু বিভাগের পরিসেবা লাঠে উঠেছে। এই শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকার ফলে জেলা হাসপাতালে প্রতিদিন ছোট বড় ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন যে, কয়েক বছর পূর্বে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শর্মিস্টা সরকার যখন জেলা হাসপাতালে ছিলেন তখন নিয়মিত ভাবে পরিসেবা পাওয়া যেত।
উনি বদলী হবার পর থেকেই জেলা হাসপাতালে শিশু বিভাগের পরিসেবা লাঠে উঠেছে বলে হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয় স্বজনদের অভিমত। ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে শুধুমাত্র শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই তা নয়, দীর্ঘদিন ধরে জেলা হাসপাতালের সিটি স্ক্যান পরিসেবাও বন্ধ। তাছাড়াও জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন পরিসেবা নিয়ে নানান অভিযোগ রয়েছে। এখন দেখার বিষয়, দপ্তরের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কবে কি করে!