
বরাকবাণী প্রতিবেদন শ্রীভুমি ১২ এপ্রিল: মাধ্যমিকে ফলাফল নিয়ে বিতর্কে জড়ালো বদরপুরের আল আমিন একাডেমি। সম্প্রতি প্রকাশিত মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের পর শ্রীভূমি জেলায় যখন পাশের হার নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, তখন রেল শহর বদরপুরে আল আমিন একাডেমি সহ একাধিক বেসরকারি বিদ্যালয় সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের একশো শতাংশ ফলাফল দেখিয়ে প্রচার শুরু করে। এরপরই শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করতে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম কুড়োতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সূত্র অনুযায়ী, আল আমিন একাডেমি থেকে মোট ১৯১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ফলাফলে প্রথমে দাবি করা হয় ১৮৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এবং সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। পরে বিতর্কের মুখে পড়ে আবার ফলাফল সংশোধন করে জানানো হয়, ১৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল, যার মধ্যে ২ জন অনুত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু এই ভোল বদলেই বিতর্ক থেমে যায়নি। শিক্ষা নামক মহৎ ব্যবস্থাকে পায়ের তলায় ফেলে কিছু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির আশায় এই ধরনের প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সচেতন অভিভাবকরা।
বদরপুরের একাধিক বেসরকারি বিদ্যালয় মিথ্যা ফলাফল প্রকাশ করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করছে, এমনকি সামাজিক মাধ্যমেও উঠে এসেছে তথ্যপ্রমাণ সহ নানা অভিযোগ। শিক্ষা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে—এমন মন্তব্য করেছেন অনেকেই। ছাত্রছাত্রীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত না করতে বারবার বলা হলেও, কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই ধরনের কাণ্ডে বরাক উপত্যকার শিক্ষানুরাগীরা তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন। তবে এই বিতর্কের মধ্যেও কিছু আশার আলো দেখা গেছে। বিদ্যালয়টির মোট ফলাফলের মধ্যে ১৭ জন শিক্ষার্থী ডিস্টিংশন এবং ৬৬ জন শিক্ষার্থী স্টার মার্কস পেয়েছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু জেলা ভিত্তিক ফলাফলের তুলনায় তুলনামূলক ভালো ফল করেও কেন মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হল, তা নিয়ে উঠছে একের পর এক প্রশ্ন।