
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের জল জীবন মিশন প্রকল্প কাছাড়ে পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়েছে ! সোনাই বিধানসভার সুন্দরী জিপির ঠেঙ্গামারা গ্ৰামে ৭০০ শ পরিবার জল সঙ্কটে ভুগছেন
বরাকবাণী প্রতিবেদন,কচুদরম,৩০ শে জানুয়ারিঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের জল জীবন মিশন প্রকল্প কাছাড়ের গ্রামাঞ্চলে প্রহসনে পরিণত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন গ্রামে জল জীবন মিশন প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জল জীবন মিশন প্রকল্পের নামে বিভিন্ন স্থানে পুরনো জলের প্ল্যান্টগুলিও প্রায় অকেজো অবস্থায়। বিভিন্ন পুরনো জলের প্ল্যান্টে জল জীবন জীবন মিশনের আওতায় কাজ হওয়ার পর জল সরবরাহে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ফলে পানীয়জলের জন্য তীব্র দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। এমনই এক সমস্যায় ভুগছেন সোনাই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সুন্দরী জিপির কচুদরম চতুর্থ খণ্ডের ভাগাডরি গ্রামের জনসাধারণ।
ভাগাডরি গ্রামটিতে জল জীবন মিশনের আওতাধীন হর ঘর নল, হর ঘর জল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের এই প্রকল্প পুরোপুরি মুখ থুবড়ে রয়েছে। প্রকল্পটি প্রায় এক বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ভাগাডরি গ্রাম, আনছার গ্রাম এবং টেঙ্গাখারা গ্রামের প্রায় ৭০০ পরিবার তীব্র জল সঙ্কটে ভুগছেন। বর্তমানে শুকনো মরশুমে গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি পুকুরের জল তলানিতে। তাই বোথাম টিপে বিশ্বের খবর জানার যুগেও এই ৭০০ পরিবারের মানুষদের জল ফুটিয়ে পান করতে হচ্ছে। প্রকল্পটি প্রায় এক বছর ধরে অকেজো থাকলেও এনিয়েবিভাগীয় কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই।

জল জীবন মিশনের আওতায় কাজ হওয়ার আগে ওই পরিবারগুলি সংশ্লিষ্ট প্ল্যান্ট থেকে যথারীতি পানীয়জল পেয়ে গেছেন। সমস্যা দেখা দিয়েছে প্রায় এক বছর ধরে। প্রকল্পটি সারিয়ে তোলার জন্য এই ৭০০ পরিবারের মানুষ স্থানীয় বিধায়ক আলহাজ করিম উদ্দিন বড়ভূঁইয়ার (সাজু) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এই প্রকল্পের আওতায় দু’টি এমই স্কুল, একটি এলপি স্কুল এবং একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। যে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাক্তন ডিসি রোহন কুমার ঝাঁ-র নির্দেশে একদিনের মধ্যে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি কচুদরম চতুর্থ খণ্ড অর্থাৎ চারটি গ্রামের মানুষের একমাত্র প্রাণকেন্দ্র। এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিও এক বছর ধরে জল পাচ্ছে না। পার্শ্ববর্তী আনছার গ্রাম তেমাথা জামে মসজিদের পুকুর থেকে বালতি দিয়ে জল এনে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জলের সমস্যা কিছুটা সেরে নেওয়া হয়।
অথচ মাত্র ৫০০ মিটার দূরে গাঙ্গুলি গ্রামে নতুন একটি প্রকল্প চালু হয়েছে। এই প্রকল্প থেকে শুধু গাঙ্গুলি গ্রামের মানুষ জল পাচ্ছেন। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মাত্র ৩০ মিটার দূরে পাইপ টানা রয়েছে। আবার বনরাজ সুন্নি বালিকা মাদ্রাসা থেকে ২০ মিটার দূরে পাইপ লাইন গেছে। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে পাইপটিতে জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃহত্তর এলাকার পানীয়জলের সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় বিধায়কের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং বালিকা মাদ্রাসায় নতুন প্রকল্প থেকে জলের সংযোগ দেওয়ার দাবি তুলেছেন জনসাধারণ