
বরাকবাণী প্রতিবেদন,কাটাখাল, ৩০ জানুয়ারি: কাটাখালে নদীভাঙন প্রতিরোধের কাজে চলছে লাগামহীন দুর্নীতি। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী জিও ব্যাগে বালু ভরে কাজ করার কথা থাকলেও, সেখানে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। হাইলাকান্দি জেলার বক্রিহাওর ডাইকে নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পের কাজে এসব অনিয়ম স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিগত দিনেও বক্রিহাওর ডাইকের নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বর্তমানেও কাটাখাল নদী ও বরাক নদীর মিলনস্থলে প্রকল্পে একই রকম দুর্নীতি চলছে। জনগণ ও জলসম্পদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখানোর জন্য কিছু বালু রাখা হলেও, অধিকাংশ স্থানে জিও ব্যাগে বালুর বদলে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নদী ভাঙন প্রতিরোধের কাজে হরিজন্টাল ড্রেন থাকা অত্যন্ত জরুরি, যা ভার্টিকাল ড্রেন থেকে কার্যকরী। কিন্তু বর্তমান প্রকল্পে এই গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো নেই, যা প্রকল্পের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। দুর্নীতির কারণে এই প্রকল্প কতদিন টিকে থাকবে, তা নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এছাড়া অনুমোদিত প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত স্থানে না করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যা প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ লুটপাটের স্পষ্ট উদাহরণ। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাটাখাল পুলিশ ফাঁড়ির পার্শ্ববর্তী বক্রিহাওর ডাইকের রেলের ফিসারির পাশে জলসম্পদ বিভাগের বাঁধে গার্ডওয়াল নির্মাণের জন্য অনুমোদিত কাজ দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে জলসম্পদ বিভাগের এসডিও পূর্ণেন্দু চন্দ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে সচেতন মহলের প্রশ্ন, পূর্বের দুর্নীতির অভিযোগের মতো এবারের ঘটনাও কি ধামাচাপা পড়ে যাবে, নাকি দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে? স্থানীয় জনগণের একটাই দাবি—সরকার যেন দ্রুত তদন্ত করে প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।