
বরাকবাণী প্রতিবেদন, শিলচর, ৩১ জানুয়ারিঃ প্রাক্তন পৌর কমিশনার তথা কাছাড় জেলা বিজেপির নেতা রাজেশ দাসের বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জাতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ তুলে আশ্রম রোডের কীর্তন কমিটির একাংশ সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শুক্রবার কীর্তন কমিটির অফিস কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তাঁরা এই ঘটনার নিন্দা করেন এবং রাজেশ দাসের জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। স্থানীয়দের অভিযোগ, শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তীর উন্নয়ন তহবিল থেকে দেওয়া পাঁচ লক্ষ টাকা তপোবন নগরের আনন্দ নগর, মা কালী লেনের মন্দির উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়। এই বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে, মন্দির কমিটির সম্পাদক বিজয় দাস ও এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নন্দ দাসকে রাজেশ দাস অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং কৈবর্ত সমাজ সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কীর্তন কমিটির সদস্য নিশিকান্ত সরকার বলেন, “রাজেশ দাস নিজেও কৈবর্ত সমাজের একজন মানুষ, তবু তিনি কীভাবে সমাজেরই একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে এমন ভাষায় অপমান করতে পারেন?” তিনি আরও জানান, নন্দ দাস অতীতে রাজেশ দাসের পৌরসভার নির্বাচনের সময় নিরলসভাবে তাঁর জন্য কাজ করেছিলেন, অথচ আজ সেই ব্যক্তিকেই তিনি অসম্মান করলেন।
অঞ্জন চৌধুরী বলেন, “রাজেশ দাসের এই আচরণের ফলে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বিনষ্ট হচ্ছে।” সজল কান্তি দাস কড়া ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, “একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে রাজেশ দাস কীভাবে নিজ সম্প্রদায়ের মানুষকে অশিক্ষিত বলে অপমান করতে পারেন? তাঁর এই ব্যবহারের জন্য তাঁকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে, নাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে সমাজ।”
অভিযোগকারী নন্দ দাস ও বিজয় দাস জানান, মন্দিরের অনুদান সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তারা রাজেশ দাসের হাতে চরম অপমানিত হন। তারা বিষয়টি লিখিতভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছাড় জেলা কমিটির নবনিযুক্ত সভাপতি রূপম সাহার কাছে জানিয়ে তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপ দাস, অনন্ত দাস, যতিলাল দাসসহ এলাকার অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন এবং ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হন।