
বরাকবাণী প্রতিনিধি,এম আর তাপাদার, কাটিগড়া,৩১ জানুয়ারিঃ এক পশলা বৃষ্টিতে তারিনীপুর তিমাথা সংলগ্ন টিআরকে সড়কের বেহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে। ভারতমালা প্রকল্পের প্লান্টের গাড়ি অবাদে চলাচলের জন্য এই অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, টিআরকে সড়কের তারিনীপুর তিমাথা সংলগ্ন প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা জলে কাদায় একাকার হয়ে গেছে। এতে আজ দিনভর ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চলাচল করতে হয়েছে। যেকোনো সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয় জনগণ।
স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণের মতে, ভারতমালা প্রকল্পের একটি প্লান্ট রয়েছে তারিনীপুর তিমাথায়। প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের ভারী যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাটি একদিকে যেমন ভেঙে পড়ছে, অন্যদিকে ধুলোবালির ফলে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। আজ সকালে একপশলা বৃষ্টি হতেই তারিনীপুর তিমাথায় জলে কাদায় একাকার হয়ে যায়। অনেক বাইক আরোহী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেছেন। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করেন স্থানীয় জনগণ। সুত্রমতে, টিআরকে সড়ক ধরে ভারতমালার ভারি যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও অহরহ ভারতমালার বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে বিভিন্ন রকমের যান বাহন চলাচল অবিরাম চলতে আছে। এতে টিআরকে সড়কের তারিনীপুর থেকে চৌরঙ্গী পর্যন্ত রাস্তাটি কঙ্কাল হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন যানজট সমস্যা সহ ঝুঁকি নিয়ে অন্যান্য যাত্রীরা চলাচল করছেন। খানাখন্দে ভরা সড়ক সামান্য বৃষ্টিতেই জল-কাদায় একাকার হয়ে পড়ে, ফলে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বিগত কয়েক মাস ধরে এলাকাবাসী এই সমস্যার সমাধানে এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সড়কটি এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হওয়ায় স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী, কর্মজীবী মানুষ এবং সাধারণ পথচারীদের প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে, অল্প বৃষ্টি হলেই কাদার কারণে যান চলাচল প্রায় অচল হয়ে যায়। অনেক সময় গাড়ি ও মোটরসাইকেল আটকে পড়ে, দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভারতমালা প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারী যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে, যার ফলে রাস্তার বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নির্মাণকাজের জন্য রাস্তার ওপর অতিরিক্ত মাটি ধুলাবালির সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালিতে হাঁসফাঁস করতে হয়, আর বর্ষায় রাস্তাটি পরিণত হয় কর্দমাক্ত পথে। এলাকাবাসীর দাবি, ভারতমালার বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা ঝণ্ডু কোম্পানির গাড়ি চলাচল বন্ধ সহ টিআরকে সড়কের দ্রুত সংস্কার না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে সমস্যা আরও তীব্র হবে। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে, অথচ দেখার কেউ নেই! সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া, নইলে আমাদের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।