
বরাকবাণী প্রতিনিধিঃপরিতোষ পালঃ ধর্মনগরঃ১৭জানুয়ারিঃ বাইকের আপার ও ডিপার লাইট মারাকে কেন্দ্র করে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে বাক্ বিতন্ডা ও পরে মারধোরের ঘটনায় মামলা ও পাল্টা মামলায় উত্তপ্ত পানিসাগর থানাধীন বিলথৈ এলাকা।পরবর্তী সময় ওপর এক যুবকের বাড়ি,গাড়ি ভাঙচুর ও বাইকে আগুনের ঘটনায় পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠে।ঘটনাকি সংঘটিত হয়েছে উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর থানাধীন বিলথৈ বাজার সংলগ্ন এলাকায়।ঘটনার বিবরণে অগ্নি সংযোগে আক্রান্ত যুবক দেবব্রত দাস(৩৩)(পিতা মৃত ঋষিকেশ দাস,বাড়ি বিলথৈ গ্ৰামের দুই নং ওয়ার্ডে)জানায়,গত ১৩ ই জানুয়ারি সোমবার মেরামেরির রাতে সে নিজের মোটর বাইক নিয়ে অন্যত্র পিকনিক সেরে বাড়ি ফেরার পথে তিলথৈ এলাকার তিন অপরিচিত যুবক বাইকে করে অপর প্রান্ত থেকে দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। তখন দেবব্রতর বাইকের আপার লাইট জ্বলতে থাকায় অপর যুবক ত্রয়ের অসুবিধা হওয়ায় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ দেবব্রতর। এতে ঘটনাস্থলেই দু’পক্ষের মধ্যে বাক্ বিতন্ডা শুরু হয় এবং পরে উত্তেজিত হয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম মারপিটের ঘটনা সংঘটিত হয়। সঙ্গে সঙ্গে দেবব্রতের সহপাঠীরা এসেও মারপিটে যোগদান করে।এতে উভয় পক্ষই আহত হয়।দেবব্রতর নাক ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে বলে জানায় সে।রাতে এখানেই ঘটনা শেষ হয়ে যায় এবং পরদিন সকাল উভয় পক্ষের মাতব্বর ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা ঘটনা ধামাচাপা দিতে ময়দানে নেমে পড়েন। ততক্ষণে ঘোলা জলে মাছ ধরতে গিয়ে নেতারা ব্যর্থ হন এবং পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকাল চারটা নাগাদ তিলথৈ থেকে প্রায় পঞ্চাশেরও অধিক বাইক নিয়ে কিছু উশৃঙ্খল যুবক লাঠিসুটা হাতে নিয়ে দেবব্রতর বাড়িতে আক্রমণ করে এবং ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটায়।এতে ভাংচুর করা হয় তার গাড়ি।হামলা করা হয় বাড়িঘরে। তাছাড়া তার বাইকটি ভেঙে অগ্নিসংযোগ করে দেয় আক্রমণকারীরা।কিন্তু এই ধ্বংসলীলা চলার সময় সে তার বৃদ্ধ মা ও স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে কোন মতে প্রানে বাঁচে। ঘটনার পরেই দেবব্রত ওরফে দেবু পানিসাগর থানায় শেখর নাথ,ভাস্কর নাথ,মিঠু নাথ,সুজয় নাথ,নয়ন,সমীরণ নাথ ও সুমন্ত নাথের বিরুদ্ধে ০৩/২৫ নম্বরে ও ভারতীয় ন্যায় সহিংসতার ৩২৭(৪)/৩২৬(এফ)/ ৩(৫) ধারায় মামলা দায়ের করে।অপরদিকে আক্রমণকারীরাও পানিসাগর থানায় মামলা দায়ের করে।এদিকে পানিসাগর থানার ওসি সুমন্ত ভট্টাচার্য জানান,উভয় পক্ষের মামলা হাতে নিয়ে তিনি তদন্ত জারি রেখেছেন।
এদিকে, আক্রান্ত দেবব্রত নাকি শাষক দলের ৫৭ নং যুবরাজ নগর মন্ডলের ৪৮ নং বুথের সক্রিয় যুব মোর্চার একজন সদস্য।তাই শাষক দলের দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে বেকায়দায় রয়েছে মন্ডল কর্তৃপক্ষ।এখন দেখার পুলিশি তদন্তে কি রহস্য বেরিয়ে আসে।