
ভূ-মাফিয়াদের তাণ্ডবে অতিষ্ট কাছাড়ের নিয়ারগ্ৰাম বাঘপুরের জনগণ
ভূয়ো নথি বানিয়ে জমি জবরদখলের প্রচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের।
বরাকবাণী প্রতিবেদনঃশিলচরঃ১৭জানুয়ারিঃ কাছাড় জেলার নিয়ারগ্ৰাম বাঘপুরের মানুষ বর্তমানে ভূ-মাফিয়াদের তাণ্ডবে চরম আতঙ্কিত। যেখানে আসামের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মার নির্দেশে সমগ্র রাজ্যজুড়ে ভূ-মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, ঠিক সেখানেই এই গ্রামে তিনজন প্রভাবশালী ব্যক্তির দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত।
ভুক্তভোগী জমির মালিক জলাল উদ্দিন চৌধুরীর দাবি, ২০১৬/১৭ সালে তিনি শ্বশুর মশাই থেকে দুটি দলিলের মাধ্যমে বাইপাস সংলগ্ন এলাকার ২৪ কাঠা জমি ক্রয় করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি যখন তিনি সেই জমিতে কাজ শুরু করেন, তখন মাছুক আহমেদ, টনিক আহমেদ এবং সুয়েল নামের তিনজন ব্যক্তি বেআইনিভাবে সেখানে প্রবেশ করে তাঁর কাজের লোকদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। শুধু তাই নয়, ভূয়া দলিল দেখিয়ে ওই জমিকে নিজেদের বলে দাবি করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই তিন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বাইপাস সংলগ্ন এলাকার জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যারা কোনো কারণে জমি বিক্রি করতে পারছেন না বা নির্মাণকাজ শুরু করতে পারছেন না, তাঁদের জমি ভূয়া দলিল বানিয়ে জবরদখল করা এই মাফিয়াদের স্বাভাবিক কৌশল।
জলাল উদ্দিন চৌধুরীর পরিবার সহ ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন যে, মিথ্যা মামলার মাধ্যমেও তাঁরা নিরীহ মানুষের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে। ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এই মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে এলাকার অন্যান্য জমি মালিকরাও আতঙ্কে রয়েছেন।
এখন প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। কেন এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? ভূ-মাফিয়াদের এই তাণ্ডবের ফলে শুধু সাধারণ মানুষের অধিকারই লঙ্ঘিত হচ্ছে না, এলাকার শান্তি এবং উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এলাকাবাসী এবং ভুক্তভোগী পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন, যাতে মাছুক আহমেদ, টনিক আহমেদ এবং সুয়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং জমির প্রকৃত মালিকদের অধিকার সুরক্ষিত রাখার দাবি জানিয়েছেন।