
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনে উদ্বুদ্ধ ত্রিপুরার ইয়ুথ আইকন ছাত্র-বিজ্ঞানী অভিনব বণিক
বরাকবাণী প্রতিনিধিঃপরিতোষ পালঃ ধর্মনগরঃ১৩জানুয়ারিঃ অলিম্পিক ২০৩৫সালে ভারতেই অনুষ্ঠিত হবে এবং গগনযান মিশন এবছরই আকাশ ছুঁয়ে দেখবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১২ই জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩ তম জন্মজয়ন্তীতে কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রক আয়োজিত জাতীয় যুব উৎসব ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ন্যাশনাল ইয়ুথ ডায়লগে সমবেত ইয়ুথ আইকন যুব সিংহ সমাবেশে নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে ঊর্যা সন্ঞ্চার করে এই ঘোষণা করেছেন, যা সমবেত ইয়ুথ আইকনদের মত ত্রিপুরার ইয়ুথ আইকন ছাত্র-বিজ্ঞানী অভিনব বণিক সহ অন্যান্যদেরও বিকশিত ভারত নির্মাণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে। ত্রিপুরার ইয়ুথ আইকনরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে যারপরনাই শিহরিত।
বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে স্বামী বিবেকানন্দের মতো নেতা সন্ধানের এই মেগা ড্রিম ইভেন্টে স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই আহ্বানে ত্রিপুরা রাজ্যের যুব আইকন ছাত্র ছাত্র বিজ্ঞানী অভিনব বণিক সহ অন্যান্যরা সম্রাট বসাক, দীপ পাল, মৃগাঙ্ক দাস, সুব্রত সাহা, সুরজিৎ দে, প্রশানজিৎ শীল, কাকলি সরকার প্রমুখ কিংবদন্তি গণিতবিদ আনন্দ কুমার সুপার ৩০-এর বিশেষ সৌজন্যে ভারত মণ্ডপমে বিশেষ প্রথম সারির শ্রোতা হওয়ার সুযোগ পেয়েছে । কিংবদন্তি গণিতবিদ তথা সুপার ৩০ সিনেমা খ্যাত তারকা ব্যক্তিত্ব আনন্দ কুমার মূলত এই উৎসব অধিবেশনের প্রধান বক্তা হিসেবে কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত ।
তিনি ছাড়াও অন্যান্য যুব আইকনরা এই জাতীয় যুব উৎসব ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ন্যাশনাল ইয়ুথ ডায়লগে সমবেত হতে পেরে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন ত্রিপুরা সরকারের যুব ও ক্রীড়া দফতরের মন্ত্রী টিংকু রায়, সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ, দলের সমন্বয়ক অর্জুন নাথ এবং অন্যান্যদের প্রতি। এই নতুন মাত্রার জাতীয় যুব উৎসবে যুব অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি জাতীয় যুবকদের উৎসবে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছেন সকলেই। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপে অংশগ্রহণকারী হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে এই ধরনের সুযোগের জন্য তাদের সকলকে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এই সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের তরুণদের প্রাণবন্ত শক্তি তুলে ধরেন, যা ভারত মণ্ডপমে জীবন ও শক্তি এনেছিল। তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে সমগ্র জাতি স্বামী বিবেকানন্দকে স্মরণ করছে এবং শ্রদ্ধা জানাচ্ছে, যাঁর দেশের যুবসমাজের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ছিল। তিনি আরও যোগ করেছেন যে স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্বাস করতেন যে তাঁর শিষ্যরা তরুণ প্রজন্ম থেকে আসবে, যারা সিংহের মতো প্রতিটি সমস্যার সমাধান করবে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন যে স্বামী বিবেকানন্দ যদি আজ আমাদের মধ্যে থাকতেন তবে তিনি একবিংশ শতাব্দীর যুবকদের জাগ্রত শক্তি এবং সক্রিয় প্রচেষ্টার সাক্ষী হয়ে নতুন আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ হতেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি স্বামী বিবেকানন্দের যুবকদের নিয়ে যে স্বপ্ন তার প্রতি বিশ্বাসী বৈকি অন্ধ বিশ্বাসী।
জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে ‘বিকশিত ভারত, তরুণ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপচারিতা ২০২৫’ অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজধানীর ভারত মণ্ডপমে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এদিন যোগ দিয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৩,০০০ জন উদ্যমী তরুণ ও যুব নেতা। উল্লেখ্য, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছর ১২ জানুয়ারি দিনটি যুব দিবস রূপে সারা দেশে উদযাপিত হয়।
শ্রী মোদী তাঁর ভাষণে আরও বলেন, দেশের যুবসমাজের ওপর স্বামী বিবেকানন্দের ছিল অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস। তিনি আরও বিশ্বাস করতেন যে তাঁর শিষ্যরা হবেন তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি। সিংহের মতো বীর বিক্রমে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন যেকোন ধরনের সমস্যার সমাধানে। তিনি নিজেও স্বামীজির বিশ্বাস ও ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাসী বলে এদিন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ যদি আজ আমাদের মধ্যে জীবিত থাকতেন তাহলে ২১ শতকের যুবকদের লক্ষ্য করে তিনি তাঁদের সম্পর্কে আরও স্থির প্রত্যয়ী হয়ে উঠতেন।
তরুণ ও যুবক অংশগ্রহণকারীদের কাছে প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর উন্নত ভারত গঠনের চিন্তা-ভাবনার কথাও ব্যক্ত করেন। এই লক্ষ্য পূরণে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক তথা কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গীর ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন যে উন্নত ভারতে অর্থনীতি এবং পরিবেশ ও পরিস্থিতির একই সঙ্গে উন্নতি ঘটবে। নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে শিক্ষা এবং আয় ও উপার্জনের ক্ষেত্রে। উন্নত ভারতে সুদক্ষ তরুণ ও যুবক কর্মীর কোন অভাব হবে না। বিশ্বের বড় বড় সংস্থাগুলি এদেশের তরুণদের মধ্যে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করে। মহর্ষি অরবিন্দ, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং হোমি জে ভাবার মতো বিশিষ্ট চিন্তাবিদদেরও এদিন স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শ্রী মোদী বলেন যে বিশ্বের বড় বড় সংস্থাগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত রয়েছেন ভারতীয় তরুণ ও যুবকরা। তাঁদের দক্ষতা ও পারদর্শিতা আজ বিশ্বের কাছে এক অনুসরণযোগ্য দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২৫ বছর হল এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ ‘অমৃতকাল’ যখন উন্নত ভারত গঠনের স্বপ্নকে সফল করে তুলতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবে ভারতীয় যুবসমাজ। একদা অসম্ভবকে তাঁরা যেদিন সম্ভব করে তুলবেন, সেদিনই উন্মেষ ঘটবে এক উন্নত ভারতের।
বর্তমান যুবসমাজের ক্ষমতায়নে তাঁর সরকার যে অঙ্গীকারবদ্ধ আজ একথাও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রায় প্রতিটি সপ্তাহে দেশের কোথাও না কোথাও একটি করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে। আবার প্রায় প্রত্যেক দিনেই স্থাপিত হচ্ছে একটি করে আইটিআই। তিন দিন অন্তর প্রসার ঘটছে একটি করে অটল টিঙ্কারিং ল্যাবের এবং প্রায় প্রতিদিনই স্থাপিত হচ্ছে দুটি করে নতুন কলেজ। বিগত এক দশককালে দেশে আইআইটি-র সংখ্যা ৯ থেকে উন্নীত হয়েছে ২৫টিতে। অন্যদিকে, আইআইএম-এর সংখ্যা ১৩ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১টিতে। এমনকি, এইমস-এর মতো হাসপাতালগুলির সংখ্যাও বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে তিনগুণ। গত ১০ বছরে ভারতে মেডিকেল কলেজের সংখ্যাও দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মতে আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে এক উন্নত ভারত গঠনের স্বপ্নকে সফল করে তুলতে প্রয়োজন প্রতিদিন একটি করে লক্ষ্যমাত্র স্থির করা। আর এজন্য দরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা। ভারত যে অনতিবিলম্বে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠতে চলেছে একথাও আজ গভীর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার বাইরে নিয়ে আসার কাজে আমরা সাফল্য অর্জন করেছি। দেশ যে অনতিবিলম্বে সম্পূর্ণ ভাবে দারিদ্র্য মুক্ত হতে চলেছে একথাও আজ গভীর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যক্ত করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। পুর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও দেশ যে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে এগিয়ে চলেছে একথাও আজ ঘোষণা করেন তিনি।
ভারতে আগামী দশকে অলিম্পিকের উদ্যোগ আয়োজনের উচ্চাশামূলক লক্ষ্য পূরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে শ্রী মোদী বলেন, এজন্য প্রয়োজন দেশবাসীর ঐকান্তিক নিষ্ঠা ও কর্মপ্রচেষ্টা। মহাকাশ শক্তির দিক থেকেও দেশ এখন দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশে একটি স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। চন্দ্রায়নের সাফল্য এবং গগনায়নের জন্য প্রস্তুতিপর্ব আমাদের বিশেষ ভাবে উৎসাহ যুগিয়েছে। যার ফলে চন্দ্রপৃষ্ঠে একজন ভারতীয়র পদার্পণের প্রহর গুণতে শুরু করেছি আমরা। এই ধরনের নানা লক্ষ্য পূরণের মধ্য দিয়ে আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠনের পথকে আমরা আরও প্রশস্ত করে তুলতে পারব।
প্রাত্যহিক জীবনে অর্থনৈতিক অগ্রগতির সুফল ও প্রভাব প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইতিবাচক সুফল দেখা দেয়। বর্তমান দশকের প্রথম দশকটিতে ভারত ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশে উন্নীত হতে পেরেছে। তবে, কৃষি এবং পরিকাঠামো বাজেটের ক্ষেত্রে আমাদের বিনিয়োগের মাত্রা হয়তো ততটা বেশি ছিল না। তবে, ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন পরিকাঠামোর প্রসার ঘটেছে দ্রুত হারে। বিমানবন্দরগুলির সংখ্যা যেমন দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে তেমনি পর্যায়ক্রমে চালু হয়েছে অনেকগুলি বন্দে ভারত ট্রেন। বুলেট ট্রেন চালানোর স্বপ্নও ভবিষ্যতে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। বিশ্বের মধ্যে ভারত হল এমন একটি দেশ যেখানে ফাইভ-জি ইন্টারনেট সংযোগের মাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে দ্রুততার সঙ্গে। এমনকি, গ্রামপঞ্চায়েতগুলিতেও পৌঁছে গেছে এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা। গ্রাম সড়কগুলি আরও উন্নত ও প্রশস্ত হয়েছে এবং মুদ্রা ঋণের সাহায্যে তরুণ শিল্পোদ্যোগীদের সহায়তার যোগান দেওয়া হয়েছে। আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিনা ব্যয়ে চিকিৎসা পরিষেবা সহ সূচনা হয়েছে আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির। কৃষকদের জন্য আর্থিক সহায়তা, দরিদ্র সাধারণ মানুষের জন্য পাকা বাড়ি তৈরি ইত্যাদিও আমরা বাস্তবায়িত করেছি। ভারত বর্তমানে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ রূপে নিজেকে তুলে ধরার জন্য নিরন্তর ভাবে এগিয়ে চলেছে। আগামী দশক শেষ হওয়ার আগে দেশ যে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হবে এবিষয়েও সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
তিনি তরুণদের অর্থনীতির বাড়বাড়ন্ত গতির সাথে উদ্ভূত অসংখ্য সুযোগ সম্পর্কে উৎসাহিত করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে বর্তমান যুবসমাজ প্রজন্ম কেবল দেশের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ পরিবর্তন যেমন করবে বিকশিত ভারতের ভাবনায়, তেমনি তার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগীও হবে সেই গড়ে তোলা বিকশিত ভারতে। তিনি যুবকদের রাজনৈতিক ধারায় আসতেও আহ্বান রাখেন। তার ভাষণ শেষ করে, প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত জাতি হিসাবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এই রেজোলিউশনে সবাইকে বাঁচতে এবং নিজেকে উৎসর্গ করতে উৎসাহিত করেন। তিনি আবারও জাতীয় যুব দিবসে ভারতের সমস্ত যুবকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং একাধিক বার বন্দেমাতরম বন্দে – মাতরম ধ্বনিতে ভারত মন্ডপম মুখরিত করে যুব সিংহ সমাবেশকে উজ্জীবিত করেন।
কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী ডঃ মনসুখ মান্ডাভিয়া, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী জয়ন্ত চৌধুরী এবং শ্রীমতি রক্ষা খাডসে এই অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। আমন্ত্রিতদের মধ্যে কিংবদন্তি গণিতবিদ এবং সুপার 30 ফিল্ম খ্যাত ব্যক্তিত্ব এমনকি ত্রিপুরার বন্ধু ব্যক্তিত্ব আনন্দ কুমারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শোনার জন্য উপস্থিত ছিলেন।
তাদের অংশগ্রহণের বিষয়ে রিপোর্টার পরিতোষ পালের এক জিজ্ঞাসার প্রতিক্রিয়ায় ত্রিপুরা রাজ্যের ইয়ুথ আইকন ছাত্র বিজ্ঞানী তথা রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় বিবেকনগরের দশম শ্রেণীর ছাত্র অভিনব বনিক বলেন, আমি উপলব্ধি করেছি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাল কাজের দ্বারা আমার হৃদয় এবং বিশ্বাসকে স্পর্শ করেছেন, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম অনুপ্রেরণামূলক কথা, “বিশ্বের জন্য, পিএম প্রধানমন্ত্রী হতে পারে, কিন্তু যুব আইকনদের কাছে, পিএম মানে উল্লেখযোগ্যভাবে পরম মিত্র” আমাকে উৎসাহিত করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী আমাদের থেকে, ভারতের তরুণদের কাছ থেকে আস্থা নির্ভর তাঁকে ঘিরে বন্ধুত্বের বন্ধনে জোর দিয়েছেন।