
বরাকবাণী প্রতিবেদনঃকাবুগঞ্জঃ১২জানুয়ারিঃ রবিবার ধলাই বিধানসভা এলাকার নরসিংপুর ২য় খণ্ডে ভারতমালা প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণের জন্য অধিগ্ৰহন করা জিরাত ও জমির ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করতে বাঁশের ব্যারিকেড লাগালেন ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে, এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও তাদের পরিবারের একাংশ সদস্যরা জানান, এলাকার যেসব মানুষের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদেরকে আজ দেওয়া হবে, কাল দেওয়া হবে করে জমির ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। আর এদিকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে নির্মাণ সংস্থা ঝন্ডু কন্ট্রাকশন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত মাসে তারা তাদের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে লাল জাণ্ডা লাগিয়ে রেখে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেন । এখবরে জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা নরসিংপুর ২য় খণ্ডে এসে তাদেরকে পরবর্তী সপ্তাহের ভিতরে পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এতে মধ্যস্থতা করেন স্থানী বিশিষ্ট ব্যাক্তি তথা কাছাড়ের প্রাক্তন ডিডিসি বিসি নাথ। কিন্তু পরবর্তী সপ্তাহ গড়িয়ে গিয়ে মাস অতিবাহিত হলেও এক টাকাও জমি মালিকদের ব্যাঙ্কের খাতায় ঢুকে নি। এদিকে নির্মাণ সংস্থা জন্ডু কইন্সট্রাকশন তাদের কাজ বিনা বাঁধায় করে যাচ্ছে। দীর্ঘ ৩ বছর আগেই জমিনের যাবতীয় নথিপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে বিভিন্ন জায়গায় অধিগৃহীত জমির এবং জিরাতের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলেও নরসিংপুর ২য় খণ্ড সহ পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু গ্রামে এরকম অধিকাংশ মানুষের ক্ষতিপূরণ পাওনা বাকি রয়েছে বলে জানান তারা। এমতাবস্থায় তারা ভিটে মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
এনিয়ে সোনাই রাজস্ব চক্র কার্যালয় ও শিলচর জেলা ভূ-বাসন কার্যালয়ে বারবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ভূমি মালিকরা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কিছু সংখ্যক পাটোয়ারীদের স্বার্থান্বেষী মনোভাবের জন্য হয়তো ক্ষতিপূরণের ফাইল ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রাখা হচ্ছে। রবিবার দুপুরে তারা বাধ্য হয়ে সড়ক নির্মাণ সংস্থার কাজে বাঁধা প্রদানে এগিয়ে আসেন। তারা বাঁশ দিয়ে তাদের এলাকায় কাজ না করার জন্য ব্যারিকেড লাগিয়ে রাখেন। তারা আরো জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের ক্ষতিপূরণ পাবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে নির্মাণ সংস্থাকে তারা কাজ করতে দেবেন না। এদিন তারা অতিসত্বর ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়ে জানিয়ে বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগানে মুখরিত হন এবং জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।