কাছাড় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ব্যাপক সাফল্য, ২৫টি আসনের ১৬টিতে দখল পদ্ম শিবিরের, কংগ্রেস থেমেছে ৭-এ, নির্দলের চমক

এছাড়াও নির্দল প্রার্থীরা ২টি আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে ভোট গণনা। বিভিন্ন গণনা কেন্দ্র যেমন আইএসবিটি, আইএসটিটি এবং লক্ষীপুরে ব্যাপক উৎসাহে চলে ভোটগণনার কাজ। ইতিমধ্যে বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে উল্লাস দেখা গেছে, চলছে মিষ্টি বিতরণ ও বিজয় মিছিল।

লক্ষীপুর সমজেলার চারটি জেলাপরিষদ আসনেই দাপট দেখিয়েছে বিজেপি। দেবজ্যোতি বাউরী ও কিষান রিকিয়াসন যথাক্রমে পালোরবন্দ-দেওয়ান ও বিন্নাকান্দি-ভুবনহিল আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন সীমা দেব (লক্ষীপুর-দিলখোস) ও মাহাতো (বরথল-হরিনগর)। শিলচর জেলা পরিষদ আসনে বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী নূর ইসলাম ১৪২১ ভোটে জয়ী হয়েছেন। এ জয় কংগ্রেসের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রের চারটির মধ্যে তিনটি আসনেই বিজেপির দখল। পম্পী নাথ চৌধুরী, মিহিরকান্তি রায় এবং ধর্মেন্দ্র তিওয়ারী তাদের নিজ নিজ কেন্দ্রে জয়ী হন। কেবল সালমা আক্তার লস্কর কংগ্রেসের হয়ে একটি আসন দখল করেন। সোনাই কেন্দ্রে কংগ্রেস তিনটি আসন দখল করে বিজেপির মোকাবিলা করেছে।

দিদারখুস-নগদিগ্রাম আসনে সাহিন আহমেদ লস্কর, বাগপুর-সোনাবাড়িঘাটে রুমি বেগম মজুমদার এবং শিবপুর-বাঁশকান্দিতে রোহিদা খানম লস্কর কংগ্রেসের পক্ষে জয়ী হন। কাপ্তানপুর-কাজিডহর আসনে নির্দল সুফিয়ান লস্কর কংগ্রেস প্রার্থীকে পরাজিত করেন।

কাটিগড়া কেন্দ্রের চারটি আসন বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে সমভাবে ভাগ হয়েছে। বিক্রমপুর-কালীবাড়িতে বিজেপির পম্পি দাস এবং কাটিগড়া-লক্ষীপুরে প্রমিলা বৈষ্ণব জয়ী হন। অন্যদিকে শালচাপড়া-মোহনপুর ও মহাদেবপুর-গুমড়াতে কংগ্রেসের নাজরানা বেগম মজুমদার ও এয়োবাসী দাস বিজয়ী হন। উধারবন্দ কেন্দ্রের চারটি আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। রোহিত সিংহ, পুষ্পা রবিদাস, জুনাকি দাস এবং দীপ্তি শুক্লবৈদ্য যথাক্রমে উধারবন্দ, আরকাটিপুর, রংপুর ও শালগঙ্গা আসনে বিজয়ী হন।

নির্দল প্রার্থী ফরিদা পারভিন ভুবনেশ্বর-শ্রীকোণা আসনে, সুফিয়ান লস্কর কাপ্তানপুর-কাজিডহরে এবং সাজা বেগম শিবপুর-বাঁশকান্দিতে জয় লাভ করে নির্বাচনে চমক দিয়েছেন। ডলু-বড়খলা আসনে বিজেপির কনকন নারায়ণ সিকদার, চাতলা-শিলকুড়িতে সরস্বতী রবিদাস এবং তাপাং-বড়সাঙ্গনে নৃপেন্দ্রচন্দ্র দাস যথাক্রমে কংগ্রেস প্রার্থীদের হারিয়ে জয়ী হয়েছেন।

বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের শক্তি ও সংগঠনীয় দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে। তবে, কংগ্রেস ও নির্দলরা কিছু জায়গায় দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে। আগামী দিনগুলোতে এই ফলাফল রাজনীতির গতিপথকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে।

Related Posts

শাসক দলের চাঁদাবাজ কয়লা, সুপারি চুন পাথর, সহ বিভিন্ন সিন্ডিকেটের রাজত্বে বরাক অশান্তির পথে: গৌরব গগৈর গুরুতর অভিযোগ

বরাকবাণী প্রতিবেদন শিলচর, ৬ জুন: আসামের বন্যা বিধ্বস্ত বরাক উপত্যকা পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য আর সরকারি ব্যর্থতার এক জ্বলন্ত নিদর্শনে। সফরের দ্বিতীয় দিনে আসাম প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা…

ঈদের প্রাক্কালে অবৈধ গরুর বাজারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ গো-রক্ষা বিভাগ

বরাকবাণী প্রতিবেদন,পাথারকান্দি,৬ জুন:  ঈদের প্রাক্কালে শ্রীভূমি জেলায় অবৈধ গরুর বাজার বন্ধের দাবিতে শ্রীভূমি জেলা আয়ুক্তের মারফৎ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রেরণ তথা রাজ্যের মীন,পশুপালন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী  কৃষ্ণেন্দু পালের হাতে…