
হর্ষিত দত্ত বরাকবাণী প্রতিনিধি শ্রীভূমি ৯ মেঃ টানা কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার শ্রীভূমি জেলাসদরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সড়কে জমাজলে নাজেহাল হতে হল শহরবাসীকে। মেইন রোড সহ ব্রজেন্দ্র রোড, রমণীরোড, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, লক্ষ্মীচরণ রোড সহ অন্যান্য এলাকা রীতিমতো জলের তলায় ডুবে যায়। শুরু হয় মাস্টার ড্রেন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা বিতর্ক।
বৃষ্টি হলেই কৃত্রিম বন্যা। চিরাচরিত এই অভিজ্ঞতা থেকে যেমন সাধারণ মানুষ পরিত্রাণ পাচ্ছেন না তেমনি করিমগঞ্জ থেকে নাম বদল করে শ্রীভূমি হলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। বুধবার রাতের বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার শ্রীভূমি জেলাসদরের সিংহভাগ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। শহরের অনেক এলাকা কৃত্রিম বন্যার রূপ ধারন করে। ফলে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে চাকরিজীবি কিংবা ব্যবসায়ীদের হেনস্তা হতে হয়।
বৃহস্পতিবার জমা জলের বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক শুরু হয়। বিজেপি পরিচালিত পুরবোর্ডের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এনএসইউআই রাজ্য সম্পাদক শুভজিৎ চক্রবর্তী। বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে তিনি বলেন প্রতিবার বর্ষার মরশুমে কৃত্রিম বন্যায় নাজেহাল হতে হয় শহরের সাধারণ মানুষকে।
রাস্তাঘাট সহ মানুষের ঘরের ভেতরে জমা জল প্রবেশ করে। মূলত নালা এবং আবর্জনা নিষ্কাশনে কিছু সংখ্যক কমিশনারের চরম উদাসীনতা সাধারণ মানুষকে হেনস্তার মুখে ঠেলে দেয়। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নালার কাজ চলছে। দুপাশ উচু এবং মধ্যভাগ নীচু হওয়ার পথের উপর জল জমে বেহাল আকার ধারণ করেছে। কাজগুলো অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে এবং গুণগত মান নিয়েও যথেষ্ট সংশয় বলে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন শুভজিৎ।
বলেন শহরের নীলমণি রোডের প্রবেশ পথ থেকে স্টীমারঘাটে পরিবহন বিভাগের কার্যালয় পর্যন্ত পথের যে কাজ হচ্ছে তা দেখলে বিজেপি সরকারের উন্নয়ন স্পষ্ট ফুটে উঠে বলে বৃহস্পতিবার কটাক্ষ করেন এনএসইউআই রাজ্য সম্পাদক।তিনি আরও বলেন মেইন রোড, ব্রজেন্দ্র রোড, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, রমণীরোডের বেহাল অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষকে পরিত্রান প্রদানে বিজেপি পরিচালিত পুরবোর্ডের যেমন কোনো উদ্যোগ নেই তেমনি শাসকদলের নেতারা শুধু উন্নয়নের জয়গাণ করেই নিজেদের পদ রক্ষা করছেন।
তাছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্যে সরকার ক্ষমতায় থাকার দরুণ ডিলিমিটেশন করে আসন কর্তন করা কিংবা করিমগঞ্জ নাম পাল্টে শ্রীভূমি করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া একাংশ শাসকদলের নেতারা পরিকল্পনা গ্রহণ করে কৃত্রিম বন্যা থেকে শহরবাসী পরিত্রাণ প্রদান করতে পারছেন না বলে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন এনএসইউআই রাজ্য সম্পাদক শুভজিৎ চক্রবর্তী।